বন্ধুরা, ছোটবেলায় আমরা সবসময় আশা করি কত তাড়াতাড়ি বড় হব। কিন্তু বড় হয়ে শিশুকালের কথা খুব মিস করি, তাই না? আসলে আমাদের এই পৃথিবী, এই সমাজ যথেষ্ঠ জটিল হয়েছে। তারপরও আমরা কেন মনের ভিতরে কিছু শিশুসুলভতা বজায় রাখবনা? আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের এমন কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো। আচ্ছা, তাহলে চলুন, আমার সঙ্গে সঙ্গীতের দুনিয়ায়।
প্রথমে শুনুন 'অর্জন' শিরোনামে একটি গান। গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী মিয়ানহুয়াথাং। (১)
বন্ধুরা, এখন শুনুন 'তোমাকে কিনবো' শিরোনামে একটি প্রেমের গান। গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী উই রু সুয়ান। উই রু সুয়ান চীনের তাইওয়ানের একজন কন্ঠশিল্পী, বেতারের উপস্থাপিকা। ১৯৮২ সালের ১০ অক্টোবর তাঁর জন্ম। ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গীতে ব্রত শুরু হয়। এই পর্যন্ত চারটি এ্যলবাম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কন্ঠ চেহারার মতই মিষ্টি এবং সুন্দর। তাহলে শুনুন তাঁর গাওয়া গানটি।(২)
বন্ধুরা, এখন শুনুন 'উইছুং' শিরোনামে একটি গান, গেয়েছেন সঙ্গীত ব্যান্ড 'কার্চি'। কার্চি চীনের একটি সঙ্গীত ব্যান্ড। গঠিত হয়েছে ২০০৫ সালের মার্চ মাসে। তাদের গাওয়া গান বার বার বিভিন্ন সঙ্গীত তালিকার শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়। ২০০৭ সালে তাদের প্রথম এ্যলবাম বাজারে আসে। এ্যলবামে মোট ৯টি গান আছে, 'উইছুং' তাদের অন্যতম। উইছুং গানটি বিশেষ করে তরুণদের জন্য রচনা করা হয়েছে। গানে তরুণদের আশা বর্ণনা করা হয়েছে। আচ্ছা, তাহলে শুনুন গানটি।(৩)
বন্ধুরা, এখন শুনুন 'স্বপ্নের বিস্ময় জায়গা'। গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী উ বেই ইয়া ও ছাই জুন মাও। হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে জানান যে প্রত্যেক মানুষ প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখেন। মাঝে মাঝে আমরা তা মনে রাখতে পারি, মাঝে মাঝে তা ভুলে যাই। আপনি স্বপ্নে কী কী মজার ঘটনা বা বিস্ময়কর দৃশ্য দেখেছেন? তাহলে আমরা এখন গানের সঙ্গে বেড়িয়ে আসব কন্ঠশিল্পীর স্বপ্নের জগতে। (গান ৪)
বন্ধুরা, এখন শুনুন 'ছোট পুতুল' শিরোনামে একটি গান। গেয়েছেন চীনের তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পী থিংচু। থিংচুর জন্ম ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি। ২০০৭ সালে তাঁর প্রথম এ্যালবাম 'বৃষ্টির শব্দ' বাজারে আসে। এবং তা একই বছর সিঙ্গাপুরের শ্রেষ্ঠ নতুন কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার অর্জন করে। তাঁর জীবন অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং সুখী, তাই তাঁর গানে কোনো দুঃখ নেই। আছে শুধুই আনন্দ এবং মিষ্টি ভালবাসা। আচ্ছা, তাহলে শুনুন তাঁর মিষ্টি গান। (৫)
বন্ধুরা, এখন আপনাদের শোনাবো চীনের খুব বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী লিউ রো ইং-এর গাওয়া একটি গান। তিনিও তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯৭০ সালের ১ জুন। যদিও এখন সঙ্গীত মহলে অনেক তরুণ শিল্পী যোগ দিয়েছেন, তবুও লিউ রো ইং এখনো মানুষের মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তাঁর কন্ঠ শুনে মনে শান্তি ও উষ্ণতা আসে। তাই মানুষ তাকে আদর করে 'দুধ চা' নামে ডাকে। তাঁর গান শোনা যেন দুধ চা খাওয়ার মতই আরাম এবং আনন্দের। আচ্ছা, তাহলে শুনুন তাঁর গাওয়া 'রং' শিরোনামে একটি সুন্দর গান।(৬)
বন্ধুরা, ছোটবেলায় আপনার মা কি আপনার জন্য 'ঘুম পাড়ানী গান' গেয়েছেন? অবশ্যই, তাই না? মা-এর গাওয়া গানে ঘুমিয়ে পড়া খুব সুখের ব্যাপার। তা নিশ্চয়ই আমাদের সবার মনের সবচেয়ে উষ্ণ ও সুন্দর স্মৃতি। তাহলে এখন শুনুন 'শিশুর গান' শিরোনামে একটি গান, গেয়েছেন চীনের কন্ঠশিল্পী ওয়াং চেং। (৭)
বন্ধুরা, সুন্দর গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম। এখন শুনুন 'শিশু' শিরোনামে একটি গান। গেয়েছেন হংকং-এর কন্ঠশিল্পী জিন উন ছি। আশা করি আমরা সবাই মনে শিশুসুলভতা বজায় রাখবো। সরল চোখে এই বিশ্বকে দেখবো।