সংবিধান দেশের মৌলিক আইন ও রাষ্ট্রপ্রশাসনের মূল ভিত্তি। এনপিসি-তে উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবের মধ্যে মোট ১১টি অধ্যায় রয়েছে। অধ্যায়গুলোর মধ্যে আছে: নতুন যুগে সি চিন পিংয়ের চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা; চীনকে ধনী, গণতান্ত্রিক, সুষম সভ্য ও সুন্দর সমাজতান্ত্রিক আধুনিক শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা; চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান; সিপিসি'র নেতৃত্বকে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করা; রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যমেয়াদ-সংক্রান্ত নিয়ম সংশোধন করা; ও সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধান কমিটি প্রতিষ্ঠা করা।
এনপিসি'র প্রতিনিধি, চীনের কানসু প্রদেশের চাংইয়ে শহরের নানইউ কু জাতির স্বশাসিত জেলার মিংহুয়া উপজেলার শাংচিং গ্রামের নারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইয়াং হাই রুং মনে করেন, চীনা জনগণের সুন্দর জীবনের জন্য সংবিধানে প্রস্তাবিত সংশোধনী আনা প্রয়োজন। তিনি বলেন,
"গত কয়েক বছরে চীনের উন্নয়নে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমার জন্মস্থানেও একই অবস্থা। সামাজিক উত্পাদন-ব্যবস্থা ও স্থানীয় লোকদের জীবনমানে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষের জীবনমান সমৃদ্ধ ও পরিবেশ সুন্দর হয়েছে। সিপিসি'র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা ও সিপিসি'র নীতিমালার কারণে আমাদের সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের বিভিন্ন চিন্তাধারা ও তত্ত্ব সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটা সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা ও জনগণের সুখী জীবনের জন্য শক্তিশালী আইনগত ভিত্তি প্রদান করবে।"
এনপিসি'র প্রতিনিধি ও চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক এলাকার আইন প্রণয়নকারী কমিটির সদস্য মা ফেং কুও বলেন, জনগণের অর্জিত নতুন অভিজ্ঞতা ও সাফল্যকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা অতিব গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযথ হবে, যা হংকংয়ের 'এক রাষ্ট্র, দুই রাজনৈতিক ব্যবস্থা' উন্নয়নে সহায়ক। তিনি বলেন,
"সংবিধানের মধ্য দিয়ে সিপিসি ও জনগণের সাফল্য ও শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি দেওয়া, সংবিধানের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও ভুমিকাকে নিশ্চিত করবে। সংবিধানের যথাযথ সংশোধন দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা সুষ্ঠুভাবে অর্জনের জন্য সহায়ক। এটা আইন অনুসারে রাষ্ট্রপ্রশাসনের প্রক্রিয়ায় অর্জিত ব্যাপক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতে হংকংয়ে 'এক রাষ্ট্র, দুই রাজনৈতিক ব্যবস্থা'-র জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
এনপিসি'র প্রতিনিধি ও চীনের সর্বোচ্চ আদালতের ভাইস বিচারপতি চিয়াং বি সিন সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক কমিটিসম্পর্কিত নীতিমালা উল্লেখ করে বলেন,
"সংবিধান সংশোধনীন খসড়ায় তত্ত্বাবধায়ক কমিটি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা যোগ করা হয়েছে, যা একটি বড় পরিবর্তন। এ-প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার উদ্দেশ্য হল, সরকারি ক্ষমতার তত্ত্বাবধান করা এবং সরকারি ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা, যাতে সরকারি ক্ষমতা শুধু জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে এবং সরকারি ক্ষমতার প্রয়োগকে সবসময় নীতিমালার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এটা জনগণের অধিকার রক্ষায় একটি অতিরিক্ত রক্ষাকবচ।"
(সুবর্ণা/আলিম)