২০১৬ সালের নভেম্বরে জাতীয় শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সংস্কার বেইজিং, শানসি ও চেচিয়াংয়ে শুরু হয়। সংস্কারে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি'র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্নীতি দমন সংস্থা অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এ সম্পর্কিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধান করা হয়। এরপর এ তিনটি অঞ্চলে পৃথক পৃথকভাবে তত্ত্বাবধান কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তা শৃঙ্খলা পরিদর্শন কমিটি ও অভিশংসন দফতরের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন কাজ শুরু করে। বেইজিং শহরের তত্ত্বাবধান কমিটির পরিচালক চাং শুও ফু মনে করেন, তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা গড়ে তোলা হল এবারের সংস্কারের প্রধান দায়িত্ব। তিনি বলেন, এবারের তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে সিপিসির শৃঙ্খলা শাসন ও দেশের আইন শাসন সংস্থা সংযুক্ত হবে। প্রথমে বিকেন্দ্রীভূত তত্ত্বাবধান ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বিভাগ সংযুক্ত হবে, যাতে দুর্নীতি দমনের কেন্দ্রীয় শক্তি গড়ে তোলা যায়।
গত নভেম্বর আসে জাতীয় শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সংস্কার সারা চীনে চালু করা হয়। এ পর্যন্ত সারা দেশের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, সরকারের সরাসরি প্রশাসিত শহর এবং সিনচিয়াং উত্পাদন ও নির্মাণ সৈন্যদলের বিভিন্ন পর্যায়ের তত্ত্বাবধান কমিটি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এক বছরের মাধ্যমে জাতীয় শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা সংস্কারের সুবিধা সাফল্যে পরিণত হচ্ছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বেইজিং, শানসি ও চেচিয়াংয়ে তত্ত্বাবধান বিষয় ৩৭০, ৬৭ ও ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পর্যায়ক্রমিক সাফল্য লাভ করার পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক তত্ত্বাবধান কমিটির সরকারি ক্ষমতা শাসনের তত্ত্বাবধান উন্নতি হচ্ছে। সংগঠন ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্ব কার্যকরের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ সম্পর্কে চেচিয়াং শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান কমিটির পরিচালক লিউ চিয়ান ছাও বলেন, তত্ত্বাবধান সংস্থার কর্মকর্তা ও গণ নিরাপত্তা সংস্থা সহযোগিতা করার পাশাপাশি পারস্পরিকভাবে সীমাবদ্ধ করার ব্যবস্থাও গড়ে তোলা উচিত। যেকোন কারচুপির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
কয়েক দিন পর দ্বাদশ জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রথম সম্মেলনে পৃথক পৃথকভাবে সংবিধান সংশোধন খসড়া ও শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান খসড়া যাচাই করা হবে। চীনা জাতীয় শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সংস্কার দ্রুতভাবে উন্নতি হবে। চাং শুও ফু বলেন, চীন অব্যাহতভাবে সংস্কার উন্নয়ন করতে থাকবে।
এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন পার্টি সিপিসির তত্ত্বাবধান ও জাতীয় তত্ত্বাবধান সংযুক্ত হওয়ার সুবিধা উন্নয়ন করা হবে। ধাপে ধাপে আরো বৈজ্ঞানিক, ঘনিষ্ঠ ও কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। অন্য দিকে শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান সংস্থার ব্যবস্থাপনা ও কাজ করার প্রক্রিয়া উন্নয়ন করা উচিত। তত্ত্বাবধান সংস্থার আইনগত বিভাগ ও আইন শাসন বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। পাশাপাশি,জাতীয় শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা সংস্কারের সাফল্য জোরদার করা উচিত।
(ছাই/মহসীন)