এগিয়ে চলেছে বেইজিং-চাংচিয়াখৌ দ্রুতগতির রেলপথের নির্মাণকাজ
  2018-02-20 16:21:22  cri
১৯০৫ সালে চীনাদের নিজেদের হাতে তৈরি প্রথম রেলপথ—বেইজিং-চাংচিয়াখৌ রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। প্রকল্পের বিখ্যাত আর্কিটেক্ট ছিলেন চান থিয়ান ইয়ৌ। চীনের রেল-যোগাযোগ খাতে এই রেলপথটির অবদান অনস্বীকার্য। শতাধিক বছর পর, বর্তমানে চলছে বেইজিং-চাংচিয়াখৌ দ্রুতগতির রেলপথের নির্মাণকাজ। সুষ্ঠুভাবে চলছে এ-কাজ। এই নতুন লাইন বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সময় খুব কাজে লাগবে। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমরা এ-বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

বসন্ত উত্সবের ছুটিতেও এই নতুন লাইনের নির্মাণকাজে নিয়োজিত কর্মী ও কর্মকর্তারা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। এর উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট: সংশ্লিষ্ট একটি সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ সময়মতো শেষ করা। 'ছুং লি' নামক এই অংশের দায়িত্বশীল ইউনিট—চীনের রেলপথ চতুর্থ ব্যুরোর 'ছুং লি' প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক ছেং তু চিন বলেন,

"এই সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজের ৪৩ শতাংশ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সামষ্টিক দিক থেকে বিবেচনা করলে, নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১৫ দিন আগেই শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।"

'ছুং লি' প্রকল্প হচ্ছে ২০২২ সালে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন-ব্যবস্থাগুলোর অন্যতম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে চীনের হ্য পেই প্রদেশের চাংচিয়াখৌ শহরে। এর মোট দৈর্ঘ্য ৫২ কিলোমিটার। এটি বেইজিং-চাংচিয়াখৌ দ্রুতগতির রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালে সম্পন্ন হবে। ২০২২ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনকালে এই পথ ব্যবহার করে সরাসরি 'ছুং লি' অলিম্পিক গ্রামে পৌঁছানো যাবে।

সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ করতে ছুটির দিনে অতিরিক্ত কাজ করা ছাড়াও, এই রেললাইন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পের কার্যকারিতা ও গুণগত মান বেড়েছে।

আসলে শুধু 'ছুং লি' প্রকল্প নয়, নির্মাণাধীন গোটা বেইজিং-চাংচিয়াংখৌ দ্রুতগতির রেলপথের জন্যই 'বুদ্ধিমান বেইজিং-চাংচিয়াংখৌ ' শ্লোগানটি ব্যবহার করা হচ্ছে শুরু থেকে। এর মানে এই যে, নির্মাণপরবর্তী সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার ও পর্যটকদের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধির আশ্রয় নেওয়া হবে।

চীনের বেইজিং-লানচৌ রেল-প্রকল্পের পূর্ব দিকের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বেইজিং-চাংচিয়াংখৌ দ্রুতগতির রেল। এই রেললাইনের পূর্ব দিকে বেইজিং উত্তর স্টেশন, পশ্চিম দিকে হ্য পেই প্রদেশের চাংচিয়াখৌ শহর। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৭৩ কিলোমিটার। রেললাইনটি চালু হলে, দ্রুতগতির ট্রেনে বেইজিং থেকে চাংচিয়াংখৌ পৌঁছানো যাবে মাত্র ৫০ মিনিটে। এখন লাগে ৩ ঘন্টার বেশি।

এই লাইনের নির্মাণকারী ইউনিট হিসেবে বেইজিং-চাংচিয়াখৌ আন্তর্জাতিক রেলপথ কোম্পানির প্রকল্প বিভাগের উপ-প্রধান লি ইয়ান সংবাদদাতাকে বলেন, ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে এই লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই লাইনের নির্মাণকাজে জটিলতা বেশি। তবে বর্তমান নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,

"বর্তমান এই লাইনের সামষ্টিক নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। এই লাইন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৭০০ কোটি ইউয়ান, যার মধ্যে ৪০ শতাংশ ইতোমধ্যেই কাজে লাগানো হয়েছে।" (ওয়াং হাইমান/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040