বৈঠকে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যৌথ নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়। চলতি বছরেও ইতোমধ্যে দু'নেতা বিভিন্ন পদ্ধতিতে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের আলোচনা থেকে নতুন বছরে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নের দিক্-নির্দেশনা পাওয়া গেছে।
ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, দু'দেশ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামরিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদকপাচার প্রতিরোধ, ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা আরও উন্নত করবে। কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক ইস্যুসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও দু'পক্ষ পারস্পরিক বিনিময় জোরদার করবে এবং গঠনমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে মতভেদ নিয়ন্ত্রণ ও স্পর্শকাতর সমস্যা মোকাবিলা করবে।
ইয়াং চিয়ে ছি এ-সময় তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের অবস্থান পুনরায় তুলে ধরেন এবং আশা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের উদ্বেগ ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে।
জবাবে টিলারসন বলেন, মার্কিন-চীন সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিংয়ে সি-ট্রাম্প বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করতে ইচ্ছুক তার দেশ। পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে দু'দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র 'এক-চীননীতি' মেনে চলবে। (জিনিয়া/আলিম/লিলি)