বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চলতি বছরের দু'দিনব্যাপী বাংলা খেয়াল উৎসব। গত বুধবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আজাদ রহমান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আজাদ ও আয়োজক বেসরকারী টেলিভিশন কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উৎসবে প্রথম দিনে জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেন করিম শাহাবুদ্দিন, অসিত রায়, ড. নাশিদ কামাল, ড. হারুনুর রশিদ, ড. পদ্মিনী দেসহ অন্যান্যরা।
১ ফেব্রুয়ারি বসে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আসর। অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগসহ দেশের ৩৪টি সংগীত প্রতিষ্ঠান এবং ১৫০জন শিল্পী। এছাড়াও এবারের উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল দুইশ' নবীনশিল্পীর অংশগ্রহণ।
উদ্বোধন পর্বে জানানো হয়, আগামীতে সারাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের অংশগ্রহণে 'বাংলা খেয়াল উৎসব' অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীন ও শিশুশিল্পীরা।
যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা কারণে বাংলাদেশের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া এবার বাংলাদেশের বাইরে কলকাতার চলচ্চিত্রে অর্থ লগ্নির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গণমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ।
দেশের চলচ্চিত্র থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান বাধা যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা। এ নীতিমালাই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে ধ্বংস করছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে কলকাতায় অফিস খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনাও রয়েছে।
কলকাতায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমের একটা ছকও এরিমধ্যে এঁকে ফেলেছেন এ প্রযোজক।
কলকাতা পর্বে যাত্রা শুরুর আগে ঢাকায় পাট চুকিয়ে নিতে খানিকটা সময় নিতে চায় জাজ। কারণ প্রযোজনার প্রতিষ্ঠানটির ব্যানারে বর্তমানে 'পাষাণ', 'নূরজাহান', 'শনিবার বিকেল'সহ প্রায় পাঁচটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং প্রায় শেষ হয়েছে।
গত বছর ঈদে মুক্তি পাওয়া যৌথ প্রযোজনার দুই চলচ্চিত্র 'বস টু' ও 'নবাব'-এর বিরুদ্ধে যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ছবিগুলো মুক্তি ঠেকাতে সক্রিয় হয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংগঠনগুলো। পরে তা রূপ নেয় আন্দোলনে।
চিত্রনায়ক ফারুকের নেতৃত্বে চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে চলা আন্দোলনের মুখে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়।
পরে নতুন নীতিমালায় যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের পথ উন্মুক্ত হলেও জাজ মাল্টিমিডিয়ার অভিযোগ বর্তমান নীতিমালার অধীনে এই ধরণের সিনেমা বানানো প্রায় অসম্ভব।
শুরু হয়েছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক বইমেলা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ঘণ্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিকার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জেইগলার, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেনসহ আরও অনেকে।
[উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বই আমাদের মনের জানালা, হৃদয়ের জানালা। শিক্ষার আলো, সভ্যতার আলো, সংস্কৃতির আলো বইকে বাদ দিয়ে পৃথিবী বাঁচতে পারে না। বই নিয়ে আমরা বেঁচে আছি, বই নিয়ে আমরা বেঁচে থাকব।'
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলার বইমেলা আমাদের গর্বের বইমেলা, ঐতিহ্যের বইমেলা। বই ছাড়া আমরা ভাবতে পারি না। আপনারা আসুন এই বইমেলায়। সার্থক করে তুলুন বইমেলাকে।']
আন্তর্জাতিক এই বইমেলা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি ফ্রান্স। ভারত-ফ্রান্স সম্পর্কের ৭০ বছর উপলক্ষে এবার বইমেলায় আয়োজন করা হচ্ছে দুই দেশের নানা অনুষ্ঠানের। ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলায় উদ্যাপিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস।
এবারের বইমেলার আসর বসছে কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। মিলনমেলা ময়দানে সংস্কারের কাজ চলায় সেখানে আর এবার বইমেলা হচ্ছে না। এবারের বইমেলায় দেশ বিদেশের ৭৮০টি প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে যোগ দিচ্ছে ৪২টি প্রকাশনা সংস্থা। ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের ধাঁচে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ এবার বিশ্বের ২৯টি দেশ বইমেলায় অংশ নিচ্ছে।
কলকাতা বইমেলা এবার ৪২ বছরে পা দিচ্ছে। শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। এই মেলা এর আগে কলকাতা ময়দানে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৯ সালে তা পরিবর্তন করে সায়েন্স সিটির সামনে মিলনমেলা ময়দানে স্থানান্তর করা হয়।
ভারতের প্রবাদতুল্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন আর টুইটার ব্যবহার করবেন না!
কেন ?
কারণ আর কিছুই নয়, অভিমান।
বলিউডের সেলিব্রেটির জনপ্রিয়তায় অমিতাভকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহরুখ খান। এই অভিমানে টুইটার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন 'বিগ বি'।
বলিউডে সর্বকালীন জনপ্রিয়তায় অমিতাভ বচ্চন ছিলেন সবার উপরে । টুইটারেও এতদিন ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সম্প্রতি শাহরুখ খান ভেঙে দিয়েছেন বিগ বি-র এই রেকর্ড।
আর তাতেই টুইটার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিতাভ ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরই টুইটারে অমিতাভ বচ্চন ছিলেন দ্বিতীয় জনপ্রিয় ব্যক্তি ।
শাহরুখ খান চিড় ধরালেন তার এই জনপ্রিয়তায় । ভারতীয় সেলিব্রেটিদের মধ্যে টুইটারে সবচেয়ে জনপ্রিয় এখন শাহরুখ । টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৮।
অন্যদিকে অমিতাভের ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি ২৯ লাখ ২ হাজার ৩৫৩ । শাহরুখের বর্তমান ফলোয়ারের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। আর তাতেই অভিমান হয়েছে বলিউডের এই মেগাস্টারের।
তিনি লিখেছেন,"টুইটার! তুমি আমার ফলোয়ার কমিয়ে দিয়েছ । হাহা! এটা একটা জোক । সময় হয়েছে তোমার থেকে সরে যাবার । তোমাকে ধন্যবাদ এই যাত্রার জন্য । এই সমুদ্রে 'অন্য' অনেক মাছ রয়েছে এবং অনেক বেশি আকর্ষণীয়!"
'শোলে', 'দিওয়ার', 'পা', 'বাগবান' ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন । ৭৫ পেরিয়েও এখনও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি ।
জনপ্রিয়তায় এই পিছিয়ে পড়া তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করেছে। টুইটার ছেড়ে যাওয়া সেটাই প্রমান করে।
থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশের সংগীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের শরীরে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
ফুয়াদের স্ত্রী মায়া আল মুক্তাদির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি তিনি জানান, অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ফুয়াদ সুস্থ হয়ে উঠবেন। পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এক ভিডিওিবার্তায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদটি খবরটি ভক্তদের জানিয়েছিলেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির।
গত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকায় বাস করছেন তিনি। মাঝে মধ্যে দেশে ফিরলেও গানের সঙ্গে আছেন নিয়মিতই।