বৈঠকে লি খ্য ছিয়াং বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের মধ্যে চীন-ব্রিটেন সম্পর্ক বহু বছর ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সফলভাবে ব্রিটেন সফর করেন। এ সময় ২১ শতকের উপযোগী বৈশ্বিক সার্বিক কৌলগত অংশীদারি সম্পর্ক গড়ে তোলার ঘোষণা দেয় দু'দেশ। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন আগের মত ভবিষ্যতেও ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে। চীন ও ব্রিটেনের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা দু'পক্ষের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি মজবুত করতে সহায়ক বলে জানান প্রধানমন্ত্রী লি।
লি খ্য ছিয়াং আরো বলেন, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সত্তা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন ও ব্রিটেন উভয়েই অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও বাণিজ্য সহজীকরণের দৃঢ় সমর্থক। জাতিসংঘ ও জি টুয়েন্টিসহ বহুপক্ষীয় কাঠামোয় ব্রিটেনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয়ে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করতে চীন ইচ্ছুক বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী লি।
জবাবে তেরিসা মে বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ব্রিটেন সফর দু'দেশের সম্পর্কের 'স্বর্ণ যুগ' উন্মোচিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংকে ব্রিটেন সফরে আমন্ত্রণ জানিয়ে তেরিসা মে বলেন, এবারের সফর ব্রিটেন ও চীনের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
(ওয়াং হাইমান/মহসীন)