২২ জানুয়ারি প্রথম 'চীন-সুইজারল্যান্ড অট্টালিকা সংলাপ' বেইজিংয়ে এবং ২৩ জানুয়ারি শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, এবারের সংলাপে অট্টালিকার স্থায়িত্ব প্রতিপাদ্যে দু'দেশের স্থপতিদের মধ্যে একটি বিনিময় প্ল্যাটর্ফম প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক আলোচনা করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
চীনে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস,শাংহাইয়ে সুইজারল্যান্ডের কনস্যুলেট, সিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট মিউজিয়াম এবং শাংহাই মিংচু আর্ট মিউজিয়ামের যৌথ উদ্যোগে এবারের সংলাপ আয়োজিত হয়। সংলাপকালে 'মারিও বোটা-স্থাপত্য ও নকশা ১৯৬০ থেকে ২০১৭' প্রদর্শনী সিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়। উল্লেখ্য, সিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট মিউজিয়াম ও মারিও বোটা'র ডিজাইন। বিশ্বখ্যাত সুইস স্থপতি হিসেবে এবার সংলাপের একজন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেন মারিও বোটা। তাছাড়া, তাঁর সাথে চীনের বিখ্যাত স্থপতি, সিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য কলেজের অধ্যাপক লি সিয়াও তুং যৌথভাবে মূল বক্তব্য দেন। ভাষণের পর নিকোলাস বসগার, গাইকোমো গুয়েটোটো, ওয়াং হুই, লু ই ছেন, চু সিয়াও ফেং ও চুয়াং সেংসহ বিভিন্ন বিখ্যাত স্থপতি সংলাপে অংশ নিয়ে বাস্তুসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন প্রবিধান এবং স্থাপত্য বিবরণসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ডাঃ জ্যান জ্যাকস ডি ডার্ডেল জানান, সুইজারল্যান্ড ও চীনের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে উদ্ভাবনী কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন,"অট্টালিকা সংলাপ অত্যন্ত ভাল একটি সুযোগ, এতে দু'দেশের সেরা স্থপতি মিলিয়ে নতুন সম্ভাবনা ও স্থাপত্যের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা ও সৃজনশীলতা যোগ করতে পারেন।" তিনি আরো বলেন, সুইজারল্যান্ডের আছে স্থাপত্য শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। সুইজারল্যান্ড বলা হয় 'প্রাকৃতিক জাদুঘর'। এতে রয়েছে আমাদের শ্রেষ্ঠ স্থপতিদের চেষ্টা, যেমন লে কর্বসইয়ার, পিটার জুমথর, হেরজোগ এবং ডি মুরোন।