তিনি বলেন, বিদায়ী বছরে দাভোস ফোরামে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটির ধারণা পেশ করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। গত এক বছরে এ তত্ত্ব ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ বিশ্বায়ন সম্পর্কে এ তত্ত্ব প্রয়োগ করেছেন।
বিশ্বায়ন, মানবজাতির উন্নয়নের প্রবণতার সাথে খাপ খাওয়ানো এবং জোটবদ্ধতার সাথে ব্যাপক মিল থাকা একটি প্রবণতা, এর পরিবর্তন বিশ্বের কল্যানে সহায়ক নয়। মানবজাতিকে বিশ্বায়নের পথ অনুসরণ করে চলতে হবে। চীনের উত্থাপিত ন্যায়সঙ্গত,সহনশীল ও টেকসই উন্নয়নের বিশ্বায়ন চিন্তাধারা বিভিন্ন দেশের ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের কল্যাণকারী ও অবদানকারী চীন। বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার চালু করার ৪০ বছরের মধ্যে নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশ থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তায় পরিণত হয়েছে চীন, অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মাঝারি আয়ের দেশের তালিকায় যা বিশ্বায়নের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
জাতিসংঘের উপমহাসচিব বলেন, বর্তমানে চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিনের অন্যতম। এক পর্যায়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের অবদান ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল,বর্তমানে এ হার ৩০ শতাংশ।
বিশ্বায়নের বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশের যৌথ প্রয়াস প্রয়োজন,তা জাতিসংঘের ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রার সাথে সংযুক্ত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন লিউ।
(সুবর্ণা/মহসিন)