0123huati.mp3
|
সংস্থাটির প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, খুব ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝারি, নিম্ন ও অনির্দিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ দেশে ভাগ করা হয়েছে। এ মানচিত্র সড়ক যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও চিকিত্সাসহ নানা দিক জরিপের পর প্রকাশিত হয়েছে।
মানচিত্রে লাল রঙ দিয়ে বেশি ঝুঁকি বোঝানো হয়েছে। কমলা রঙ খুব ঝুঁকিপূর্ণ, হলুদ রঙ মাঝারি ঝুঁকি, সবুজ রঙ নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাদামি রঙ দিয়ে নির্দিষ্ট ঝুঁকি প্রকাশ করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে আছে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন এবং আফ্রিকার বেশ কয়েটি দেশ। যেমন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও মধ্য আফ্রিকা ইত্যাদি। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া আফ্রিকার প্রায়ই সব দেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেসব দেশে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে পশ্চিম ইউরোপের প্রায়ই সব দেশকে নিরাপদ অঞ্চল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
মানচিত্রে দেখা যায়, কানাডায় সবুজ রঙ, মানে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। যুক্তরাষ্ট্রেও কানাডার মতো কম ঝুঁকি রয়েছে। রাশিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, ইউক্রেন, মেক্সিকো, মিশর ও তুরস্ক মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তাই আপনি যদি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে গুরুত্ব দেন, তাহলে অবশ্যেই সবচেয়ে নিরাপদ দেশে ভ্রমণ করা উচিত্।
এ দিকে চীনকে বাদামি রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার অর্থ চীনে নির্দিষ্ট কোনো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।
সড়ক যোগাযোগের দিক থেকে উত্তর ইউরোপ বেশ নিরাপদ। ইতালি, বেলজিয়াম ও পর্তুগাল মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
আবার আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ ও এশিয়ার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলো সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডে গাড়ি চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ।