0111ht.mp3
|
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরহিস এদিন তাঁর মুখপাত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, এবারের বৈঠকে অর্জিত সাফল্যগুলোকে স্বাগত জানান তিনি।এতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনে দুপক্ষের সামরিক বৈঠক আয়োজনে মতৈক্য হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি মনে করেন, এটি সংশ্লিষ্ট চ্যানেল পুনর্গঠন জোরদার এবং এ থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে সহায়ক হবে । দুপক্ষের এই রকম যোগাযোগ ও প্রচেষ্টা কোরীয় উপদ্বীপের স্থায়ী শান্তি ও পরমাণু অস্ত্রমুক্তকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে, পিয়ংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান মহাসচিব। তিনি মনে করেন, অলিম্পিক গেমস বিভিন্ন দেশের শান্তি, সহিষ্ণু ও সমঝোতা জোরদার করতে সক্ষম। এটি কোরিয় উপদ্বীপসহ অন্যান্য অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, এবারের বৈঠক আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পিয়ংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করা। এবারের গেমসের সুষ্ঠু আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেবে এবং এতে মার্কিন প্রতিনিধিদলও অংশ নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জাপান সরকারও পিয়ংচ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়। জাপানের অলিম্পিক গেমসের কার্যনিবার্হী মন্ত্রী শুনি চি সুজুকি বলেন, অলিম্পিক গেমসের মর্ম রাজনীতির সাথে জড়িত করা উচিত নয়। অলিম্পিক গেমসকে শান্তির মহাসম্মিলনী আখ্যায়িত করে তিনি আরো বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরিবর্তিত মনোভাবকে স্বাগত জানান তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভবনের তথ্য সচিব দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সরাসরি সংলাপ চালাতে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বাগত জানায় রাশিয়া। কারণ সংলাপ হচ্ছে কোরিয় উপদ্বীপের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনের একমাত্র উপায়। এতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে মস্কো আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি ফেডেরিকা মঘেরিনি বলেন, এবারের বৈঠক একটি অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তা পাঠিয়েছে। তা হল দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়নে এক ধাপ ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু অস্ত্রমুক্তকরণ লক্ষ্য বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে ইইউ আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
(ওয়াং হাইমান/মহসীন)