ব্রিটেনের ব্রেক্সিট, পোস্ট-ব্রেক্সিট চীন-ইউকে সম্পর্ক এবং ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া
  2018-01-03 13:09:08  cri


বন্ধুরা, আজ আমরা ব্রিটেনের ব্রেক্সিট, পোস্ট-ব্রেক্সিট চীন-ইউকে সম্পর্ক এবং ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া এই তিনটি ভাগ আলোচনা করবো।

প্রথমে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট । ২০১৭ সালের শেষ দিনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরিসা মে'র কাছে একটি খারাপ খবর আসে। তাঁর প্রধান উপদেষ্টা ব্রেক্সিট-এ তাঁর ভূমিকার কারণে পদত্যাগ করেছেন। এ উপদেষ্টার নাম লর্ড এডোনিস, তিনি টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের একজন সচিব ছিলেন।

পদত্যাগ করার আগে প্রধানমন্ত্রী তেরিসা মেকে পাঠানো এক চিঠিতে এডোনিস লিখেন, "ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহার বিল'টি আমার জীবনকালের সবচেয়ে খারাপ আইন।"

চিঠিতে তিনি আরো লিখেন, "মে সরকারের কোন কার্যকর পরিকল্পনা না থাকার প্রেক্ষাপটে 'ব্রেক্সিট' কার্যকর করতে চায়। 'ব্রেক্সিট' কার্যকর হলে ব্রিটেন ইইউতে ফিরে আসা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্তব্য পরিণত হবে।" সত্যিই কঠোর মন্তব্য।

কিন্তু অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মে 'ব্রেক্সিট'-এ আশাবাদী।

প্রধানমন্ত্রী মে নববর্ষের ভাষণ দিয়েছেন পয়লা জানুয়ারিতে। আমার একজন বন্ধুর মজা করে একটি মন্তব্য করেন, তা হলো "ইতিহাসে ব্রিটেন যখনই কঠিন অবস্থায় পড়ে সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই একটি শক্তিশালী ভাষণ দেন। সাধারণত সে ভাষণটি এত চমত্কার লিখিত যে আমাদের অ-ইংরেজি ভাষী দেশের জনগণের জন্য তা ভাল ইংরেজী শেখার উপকরণ দেয়।"

আসলে মে'র জনসমর্থন নেমে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো ব্রিটেনের মন্দা অর্থনীতি।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরাণিত করার ব্যাপারে মে চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, এ বছর চীন সফর করবেন মে। তাঁর প্রত্যাশা এ সফরের মাধ্যমে চীন-ব্রিটেন 'পুরানো' সম্পর্কে আরো উন্নয়ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী মে আরটিকেল-৫০ কথা উল্লেখ্ করেছেন। আসলে ব্রিটেন এখন এক উভয় সঙ্কটে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে, ট্রানজিশন সময়ে ইইউ'র দাবি হলো সবকিছু ইইউ'র এক বাজার নীতি, সবকিছু নিয়ম, দায়িত্ব পালন করবে ব্রিটেন। এর প্রেক্ষাপটে 'ব্রেক্সিট' বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু অন্যদিকে 'ব্রেক্সিট' একটি 'এক ধাপ' ধারণা। যদি সুষ্ঠুভাবে প্রত্যাহার না হয়, 'ব্রেক্সিট' বাস্তবায়িত হবে না।]

আজকের টপিক অনুষ্ঠান শেষ করার আগে আমি চীন-ব্রিটেন 'পুরানো যুগ' সম্পর্ক উন্নয়নে কিছু তথ্য শেয়ার করতে চাই। গত মাসে চীন-ব্রিটেন অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই'পক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে ৭২টি নীতি সিদ্ধান্তে পৌঁছা গেছে। এতে রয়েছে ম্যাক্রো অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিল্প কৌশল, আর্থিক সংস্কার ও উন্নয়ন, পাশাপাশি 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা। সত্যি 'পুরানো যুগ'।

'আজকের টপিক' অনুষ্ঠান এখানে শেষ করব। আশা করি এ অনুষ্ঠান থেকে আপনরারা অনেক তথ্য লাভ করেছেন। আগামী সপ্তাহে অন্য কোন বিষয়ে আরো চমত্কার 'আজকের টপিক' অনুষ্ঠান উপহার দেবেন বাংলা বিভাগের অন্য কোন সহকর্মী। বন্ধুরা, ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন। চাই চিয়েন। (জিনিয়া ওয়াং/মহসীন)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040