ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম অভিনেতা শশী কাপুর পৃত্বীরাজ কাপুরের ছেলে। তাঁর পুরো নাম বলবীর রাজ কাপুর। জন্ম কলকাতায়।
তিনি ১৭৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া অনেক জনপ্রিয় ছবির প্রযোজক তিনি। তাঁর জনপ্রিয় কিছু সিনেমার মধ্যে আছে 'সিলসিলা', 'জুনুন', 'কালযুগ', 'বিজেতা', 'উৎসব'। তাছাড়া, ১৯৯১ সালে 'আজুবা' নামে একটি ছবিও পরিচালনা করেন শশী কাপুর। যাতে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
১৯৮৮ সালে একটি তিনি রাশিয়ান একটি ছবি পরিচালনা করেন।
শশী কাপুর ২০১১ সালে ভারতের অন্যতম সম্মানিত পুরস্কার পদ্মভূষণ ও ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন।
আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র এ লেটার টু গড' নরয়েতে রিঙ্গেরিক ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি মেনশন অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছে। এ ছাড়া ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউডে আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পেয়েছে 'বেস্ট ড্রামা অ্যাওয়ার্ড' এবং বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে 'সেরা তরুণ নির্মাতা'র পুরস্কার এবং সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছে 'সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র' পুরস্কার। এ ছাড়া 'এ লেটার টু গড' ছবিটি চীন, মিসর, ইতালি, ফিলিপাইন, মরক্কো, মেক্সিকো, জর্ডান, বাহামায় আয়োজিত উৎসবে বিভিন্ন বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে।
ছবির নির্মাতা হেমন্ত সাদিক চিলড্রেন'স ফিল্ম সোসাইটির সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়য়ে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ছেন। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছেন ২০০৯ সাল থেকে। হেমন্ত সাদিক এ পর্যন্ত ১৫টি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। 'এ লেটার টু গড' ছবিটি নিয়ে বললেন, 'ছবিটি বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে। এখানে সংলাপ কম, আমরা অভিনয়ের মাধ্যমে অনুভূতিগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক যাকে এই মুহূর্তে শীর্ষ নায়ক হিসেবে গন্য করা হয়, শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত ভেঙে যাচ্ছে তাঁর সংসার। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, স্ত্রী, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। শাকিব খানের আইনজীবীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো জানাচ্ছে, ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এই ডিভোর্স কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর।
শাকিব খান বলেছেন, অপু বিশ্বাস তাঁর পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেননি।
আরও একটি ব্যপার উল্লেখ করা দরকার। সম্প্রতি তাঁদের সন্তান আব্রাহামকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে বাসায় তালা দিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। এ ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে শাকিব খান সন্তোষজনক জবাব পাননি। এরপর তিনি ধরে নিয়েছেন, অপু তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চান না।
আইনজীবী জানিয়েছেন, বিয়ের দেনমোহর পরিশোধ করবেন শাকিব খান।পাশাপাশি তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।
তবে ডিভোর্সের এই নোটিশের ব্যাপারে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস এখনও কেউই কোন মন্তব্য করেননি।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের খবর কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার কাজ অব্যাহত রাখেন। চলতি বছর ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু বিশ্বাস। সেদিন তিনি প্রকাশ করেন, তিনি শাকিব খানের স্ত্রী এবং তাদের ছেলে আছে।
আট বছর আগের সে বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের। এবার তাঁদের সেই টানাপোড়েনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছে।