প্রথমে শুনবেন ২০১৭ মেক্সিকান টিভি উৎসবকালে 'চীনা যৌথ প্রদর্শনী' অত্যন্ত আকর্ষণীয় শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক খবর।
২০১৭ মেক্সিকান টিভি উৎসব—এমআইপি,কানকুন ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর মেক্সিকোর কানকুন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য অফিস এবং বেতার, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে 'চীনা যৌথ প্রদর্শনী' আবারও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 'সুন্দর গ্রাম', 'চীনা ফোর ট্রেজার্স' এবং 'বেন ছাও কাং মু' বা 'ম্যাটেরিয়া মেডিকার সংমিশ্রণ'সহ বিভিন্ন চমত্কার চীনা প্রামান্য চলচ্চিত্র, 'সামরিক একাডেমীর জোট', 'ছু ছিয়াও'র গল্প'সহ বিভিন্ন চমত্কার চীনা জনপ্রিয় টিভি সিরিজ, 'ডাইনোসর কলেজ' এবং 'কান সিয়াও'সহ বিভিন্ন দর্শকপ্রিয় চীনা কার্টুন ল্যাটিন আমেরিকার দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে।
পাঁচ মহাদেশ যোগাযোগ কেন্দ্র, চীন আন্তর্জাতিক টেলিভিশন কর্পোরেশন, বেইজিং মাই হোপ প্রযুক্তি কোম্পানি লিমিটেড, বেইজিং সঙ্গীত সাংস্কৃতিক বিনিময় কোম্পানি লিমিটেড, ওরিয়েন্টাল ভিশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড, ড্যানিয়ে অনুবাদক টেলিভিশন সংস্কৃতি কোম্পানি লিমিটেড, তুংইয়াং হুয়া মাই নেটওয়ার্ক টেকনোলজি কোং লিমিটেডসহ ৭টি ফিল্ম ও টিভি সংস্থা এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
মেক্সিকান টিভি উৎসবে তিন দিনের 'চীনা যৌথ প্রদর্শনী' মেক্সিকোর দর্শক ও অন্য অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশেষ ছাপ ফেলেছে। এর মাধ্যমে ২৩টি বৈদেশিক সংস্থার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে যোগাযোগ করে ভবিষ্যতে সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে চীন ও ল্যাটিন আমেরিকার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
বন্ধুরা, ২০১৭ মেক্সিকান টিভি উৎসবকালে 'চীনা যৌথ প্রদর্শনী' অত্যন্ত আকর্ষণীয় শিরোনামের সাংস্কৃতিক খবরটি শুনলেন। এবারে শুনুন রাশিয়ায় কুন জু সাংস্কৃতিক উত্সব শিরোনামে একটি প্রবন্ধ।
১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর ষষ্ঠ সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ফোরামের কাঠামোতে সেন্ট পিটার্সবার্গ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে কুন জু সাংস্কৃতিক উত্সব আয়োজিত হয়। উৎসবে পারফরমেন্স, পেইন্টিং ও লিপি প্রদর্শনী এবং শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম রুশ দর্শকদের আকর্ষণ করে। তাঁরা চীনের কুন জু অপেরা উপভোগ করে। উল্লেখ্য, চীনের কুন জুর ছ'শও বছরের বেশী প্রাচীন ইতিহাস আছে।
১৮ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বাল্টিক হাউস থিয়েটারে চীনের কুন জু অপেরা 'পিয়নি প্যাভিলিয়ন' মঞ্চস্থ হয়েছে। চার'শও বেশী স্থানী
য় দর্শক সাব টাইটেল এর সাহায্যে 'পিয়নি প্যাভিলিয়ন' এ চীনা ঐতিহ্যবাহী কুন জু অপেরা উপভোগ করে। রুশ দর্শকরা পিকিং ওপেরার সঙ্গে পরিচিত, কিন্তু কুন জু অপেরা তাদের কাছে নতুন। একজন রুশ দর্শক ওক কানা বলেন,
"আমি অত্যন্ত খুশী যে চীনা অপেরা রাশিয়ায় এসেছে। এবার আমরা প্রথম বারের মত কুন জু উপভোগ করলাম। অনেক ভাল লেগেছে। তাদের পরিধেয় বস্ত্র আমার প্রিয় একটি বিষয়। আমিও তা কিনতে চাই। অনেক মজা হবে।"
একজন নারী দর্শক ইরিনা আগে পিকিং ওপেরা দেখেছেন, কিন্তু এবার তার প্রথম কুন জু দেখা। তিনি বলেন,
"আমি এ নাটকটি খুব পছন্দ করি। কারণ এর সুর ও ধরণ ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় নাটকে নেই। সেজন্য আমার কাছে তা অনেক আকর্ষণীয় লেগেছে।"
এনাস্তি সিয়া রাশিয়ার হারজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সেদিন কুন জু দেখতে আসার আগে সংশ্লিষ্ট ক্লাস নিয়েছেন। তিনি বলেন,
"আমার অনেক বন্ধুদের মত, আমিও আগে শুধুই পিকিং ওপেরা সম্পর্কে জানতাম, কুন জু সমন্ধে কিছুই জানিনা। ক্লাসে আমি পিকিং ওপেরা ও কুন জুর পার্থক্য শিখেছি। অনেক মজা, এত বেশী চীনা ঐতিহ্যবাহী ওপেরার তথ্য জেনে আমি খুব খুশী।"
কুন জু অপেরা সেন্ট পিটার্সবার্গের 'পিওনি প্যাভিলিয়ন' এ ১৬ থেকে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া কুন জু সাংস্কৃতিক উত্সবের সমাপনী অনুষ্ঠান। সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়ু লিয়া মেলনিকোভা পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, অনেক পিকিং ওপেরার সাংস্কৃতিক দল রাশিয়ায় এসে পারফর্ম করেছে। আমরা আশা করি পিকিং ওপেরার পাশাপাশি কুন জুসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী চীনা আঞ্চলিক ওপেরা রুশ দর্শকদের কাছে উম্মুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, এবার কুন জু সাংস্কৃতিক উত্সবের প্রতিপাদ্য হলো 'প্রেমের ইতিহাস'। এতে তিনটি পর্ব রয়েছে: পারফর্মেন্স, আধুনিক পেইন্টিং প্রদর্শনী এবং মাস্টার ক্লাস ও বক্তৃতা।
কুন জু'র ৬'শও বছরের বেশী প্রাচীন ইতিহাস আছে। এটি চীনের প্রাচীনতম নাটকগুলির মধ্যে একটি। ২০০১ সালে জাতিসংঘের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিয্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বন্ধুরা, রাশিয়ায় কুন জু সাংস্কৃতিক উত্সব শিরোনামে সাংস্কৃতিক সংবাদটি শেষ হোল। এবারে শুনুন থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'এক অঞ্চল, এক পথ' বিষয়ক সেমিনার শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক খবর।
গত নভেম্বর মাসের শেষে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংক্রান্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটির প্ল্যাটফর্মে কৌশলগত সংযোগ উন্নত করা, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ কাজে লাগানো এবং আঞ্চলিক সৃজনশীলতা ও অবিরাম উন্নয়ন বাস্তবায়ন নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ল্যুই চিয়ান, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটির কার্যনির্বাহী সচিব শামশাদ আখতার সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। নেপাল, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান ও কাজাখস্তানসহ বিদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এতে বক্তব্য দেন।
মিঃ আখতার বলেন, নীতিগত সমন্বয়, দক্ষতা বাড়ানো ও প্রকল্প সহযোগিতাসহ বিভিন্নভাবে এ অঞ্চলে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়নে আগ্রহী কমিটি।
রাষ্ট্রদূত ল্যুই বলেন, এ কমিটির মাধ্যমে এতদাঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে পরিবহন, জ্বালানি, বাণিজ্য, তথ্য ও মানবিক ক্ষেত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী চীন।
বন্ধুরা, বিশ্বের সাংস্কৃতিক পর্ব এখানে শেষ। এখন শুনুন আমার সহকর্মী মহসীনের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্ব।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাইচিয়ান। (জিনিয়া/মহসীন)