প্রথমে শুনবেন "চীন-গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংক হংকং কমিটি গঠিত" শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক খবর।
১২ নভেম্বর চীন-গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংক হংকং কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এ উপলক্ষ্য হংকংয়ে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস-চেয়ারম্যান লিয়াং চেন ইং অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, "বর্তমানে আমাদের সামনে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক অনেক জটিল ইস্যু উপস্থিত। সেজন্য উপযুক্ত থিঙ্ক ট্যাংক আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ সংস্থা গবেষণা ও নীতি তৈরিতে অনেক সহায়তা দিতে পারে। নীতি বিষয়ক গবেষণা ক্ষেত্রে চীন-গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংক হংকং কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"
চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস-চেয়ারম্যান, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রথম প্রশাসক তুং চিয়েন হুয়া চীন-গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংক হংকং কমিটি প্রতিষ্ঠিা উপলক্ষে অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন। বাণীতে মি তুং বলেন, থিঙ্ক ট্যাংক হলো দেশের মেধা শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিসিজি হলো চীনা নেতৃত্ব একটি আন্তর্জাতিক মানের থিঙ্ক ট্যাংক। সিসিজি হংকং কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চীনের কুয়াং তুং প্রদেশ, হংকং ও ম্যাকাও তিনটি অঞ্চলের গভীর যোগাযোগ এগিয়ে নিয়ে যাবে। যা চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগান দেবে।
বন্ধুরা, "চীন-গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংক হংকং কমিটি গঠিত" শিরোনামে সাংস্কৃতিক খবরটি শুনলেন। এবার শুনুন "চীন-আসিয়ান সাংস্কৃতিক সহযোগিতার উন্নয়ন বিষয়ক ফোরাম নাননিংয়ে অনুষ্ঠিত" শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ।
চীন-আসিয়ান সাংস্কৃতিক সহযোগিতার উন্নয়ন বিষয়ক ফোরাম ২০১৭ সম্প্রতি চীনের কুয়াং সি প্রদেশের নাননিং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। চীন ও আসিয়ানের বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিল্প সমিতির কর্মকর্তা, পন্ডিত ও শিল্পীসহ প্রায় দু'শ অংশগ্রহণকারী ফোরামে উপস্থিত ছিলেন।
'আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ, উদ্ভাবন ও উন্নয়ন' এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য। ফোরামের চারটি পর্ব, সেগুলো হলো 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোতে "শিল্প ব্যবস্থাপনা", "চীন-আসিয়ান শিল্প তত্ত্ব নির্মাণ", "উদীয়মান শিল্প নিদর্শন ও জাতীয় শিল্পসম্মত ঐতিয্য ব্যবস্থাপনা" এবং "চীন-আসিয়ান শিল্প প্রতিভা প্রশিক্ষণ"।
চীন-আসিয়ান কেন্দ্রীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের উপ-পরিচালক সুং চিয়ে হুয়া বলেন, আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক শিল্পের সহযোগিতা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা এবারের ফোরামের মাধ্যমে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করা হবে। তা চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিল্প তত্ত্ব গবেষণা সহযোগিতার শুভ সূচনা ঘটাবে। তিনি আশা করেন, ফোরামে অংশগ্রহণকারীরা পূর্ণমাত্রায় এ বিনিময় প্ল্যাটর্ফম ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক শৈল্পিক সৃষ্টি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাছাড়া তাত্ত্বিক গবেষণা এবং নতুন থিঙ্ক ট্যাংক নির্মাণ কাজ জোরদার করবে।
বন্ধুরা, "চীন-আসিয়ান সাংস্কৃতিক সহযোগিতার উন্নয়ন বিষয়ক ফোরাম ২০১৭ সম্প্রতি চীনের কুয়াং সি প্রদেশের নাননিং শহরে অনুষ্ঠিত" খবরটি এখানে শেষ। এবারে শুনুন "চীনা পশ্চিমা সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল সফর সানডিয়াগোয় অনুষ্ঠিত" শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ।
চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ ও লস এ্যান্জেলেসে চীনের কন্সুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে 'চীনা পশ্চিমা সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল সফর ২০১৭' ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানডিয়াগোয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় দর্শকদের সামনে চীনের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের একটি সাংস্কৃতিক দল সেখানকার স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় গান-নাচ উপহার দিয়েছে। বিস্তারিত শুনবেন সিআরআই'র প্রতিবেদনে।
১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের কলিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানডিয়াগোর বাল্বা থিয়েটারের ১ হাজার দু'শরও বেশী দর্শকের উপস্থিতিতে একটি আকর্ষণীয় গান-নাচের অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে 'চীনা পশ্চিমা সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল সফর ২০১৭'র শিল্পী দল। লস এ্যান্জেলেসে চীনের কন্সুলেট জেনারেলের ভাইস কন্সুলার জেনারেল দাই সুয়াং মিং অনুষ্ঠানে বলেন,
"আজকের অনুষ্ঠান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের লোকশিল্পের বিনিময়ের একটি সুযোগ। অনেক মার্কিন নাগরিকদের চীন সমন্ধে জ্ঞানের অভাব রয়েছে। চীনা শিল্পী দল যুক্তরাষ্ট্রে এসে সরাসরি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় উভয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের চমত্কার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।"
'বাই ছুয়ান নিয়াও', 'ইয়ু কু বিবাহ অনুষ্ঠান' এবং 'কুও চুয়াং'সহ বিভিন্ন চীনের সংখ্যালঘুদের ধ্রুপদী সঙ্গীত এবং নৃত্য প্রদর্শন করা হয়। এক ঘন্টার অনুষ্ঠানে চীনের সমৃদ্ধ জাতীয় সংস্কৃতি উপভোগ করেছে মার্কিন দর্শকরা।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সান দিয়েগোর বার্নার্ড এশিয়ান প্যাসিফিক ভাষা একাডেমীর পরিচালক মিসেস আইদা হার্নান্দেজ। তিনি বলেন, তাঁর একাডেমীতে চীনা ভাষা কোর্স আছে। শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় তিনি জানতে পেরেছেন যে চা শিল্প ও থাইজিসহ অন্য চীনা সাংস্কৃতিক কোর্সের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের আরো ভালভাবে চীনা ভাষা শিখতে পারে। এতে সংস্কৃতির গুরুত্ব দেখা যায়।সাংস্কৃতিক বিনিময় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে সমঝোতা ও মৈত্রীর সেতু দৃঢ়তর করবে, দু'দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো গভীর হবে।
বন্ধুরা, মহসীনের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্বের আগে আরেকটি সাংস্কৃতিক খবর শুনবো।
চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে ৮ নভেম্বর সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুমকে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করেছেন।
ক্রীড়া সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আগে রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং, শান্তু মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব শান্তু এবং সফররত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের দক্ষিণ এশিয়া ব্রডকাস্টিং সেন্টারের উপ-পরিচালক সুন চিং লি চীন-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম ক্ষেত্রের ভবিষ্যত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। চেয়ারম্যান শান্তু কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ছাত্রছাত্রীদের 'চীনা ভাষা শেখা' প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী বাড়ানো ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখতে উত্সাহ দেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ঢাকায় সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বন্ধুরা, বিশ্বের সাংস্কৃতিক পর্ব এখানে শেষ। এখন শুনুন আমার সহকর্মী মহসীনের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্ব।
রসগোল্লা বাংলাদেশীদের প্রিয় একটি খাবার। এটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। সংক্ষেপে অনেকে মিষ্টি হিসেবেই চেনে।......
তবে এই রসগোল্লার পেটেন্টের মালিক এখন ভারত। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে পশ্চিম বঙ্গ।
প্রায় আড়াই বছর ধরে বিতর্ক চলার পরে 'জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেশন' বা 'জি আই' ট্যাগ দেওয়া হয়েছে 'পশ্চিম বঙ্গের রসগোল্লা'কে।
ভারত সরকারের পেটেন্ট অফিস আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিচার বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোন বিশেষ জিনিস বা নাম কোন অঞ্চলের বিশেষত্ব, সেই অনুযায়ী সেটিকে মেধাস্বত্ত্ব বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির ভৌগোলিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে।
বিশ্বে অন্য কেউ সেই স্থান-নামের সঙ্গে মিশিয়ে কোনো জিনিস বিক্রি করতে পারে না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে দার্জিলিং চা জি আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কলকাতার মিষ্টি বিক্রেতা কেসি দাসের বর্তমান কর্ণধার ধীমান দাস বলছিলেন, শুধু ছানা দিয়ে তৈরি যে গোল মিষ্টি রসে জারিয়ে তৈরি হয়, সেটির উদ্ভাবক যে তাদের পূর্বপুরুষ নবীন চন্দ্র দাস- সেটা তাঁরা জানতেন। কিন্তু এখন তা পেল আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রসগোল্লাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হল, এমনটাই তাঁর অভিমত ।
বাংলাদেশে অনেক নামকরা মিষ্টি তৈরির কারিগর আছে, যেমনটি আপনি বলছিলেন খানিকক্ষণ আগে। এর মধ্যে কেউ কেউ আছেন বহু প্রজন্ম ধরে এই শিল্পের সাথে জড়িত। যেমন আলাউদ্দিন, ভাগ্যকুল, মরণ চাঁদ।
কারো কারো শাখা আছে দেশের বাইরেও ইউরোপ কিংবা অ্যামেরিকায়।
তো, রসগোল্লা যখন পশ্চিম বঙ্গের জি আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল, এটি তাদের কাছে মোটেই সুখকর কোন খবর হিসেবে ধরা দিবেনা। কারণ, বিশ্বায়নের এই যুগে বানিজ্যের পরিসর যখন দুনিয়া ব্যাপী তখন এই স্বীকৃতি ওপার বাংলার ব্যবসায়ীদের বানিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা করে দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাইচিয়ান। (জিনিয়া/মহসীন/সুর্ণা)