1117china
|
'রু ই' বৌদ্ধ ধর্মীয় বস্তু হিসেবে ভারত থেকে চীনে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মের সন্ন্যাসীরা সবসময় হাতে 'রু ই' নিয়ে শাস্ত্র পড়েন। তারা শাস্ত্রের বিষয় 'রু ই'তে লিখেন, যাতে পরে ভুলে না যান। তারপর 'রু ই' ধনী ও সুখের প্রতীকী বস্তুতে পরিণত হয়। প্রাচীনকালের ওয়ে ও ছিন রাজবংশে এটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। সম্রাট ও মন্ত্রীরা একে বেশ পছন্দ করতেন। ছিং রাজবংশে 'রু ই' মর্যাদার প্রতীক। ছিং রাজবংশের সম্রাট ও রাণী সবসময় উপহার হিসেবে মন্ত্রীদের 'রু ই' দিতেন। বিশেষ করে রাণী বাছাই করার সময় সম্রাট যার হাতে 'রু ই' দিতেন, তিনি পরবর্তীতে রাণী হতেন। পরে ধনী পরিবারগুলো ভালো উপহার হিসেবে 'রু ই' আদান প্রদান করে থাকে। বর্তমানে পেইচিংয়ের রাজপ্রাসাদ ও গ্রীষ্মপ্রাসাদে ছিং রাজবংশের রাজপরিবারের 'রু ই' প্রদর্শন করা আছে।
প্রাচীন ও চমত্কার 'রু ই' খুবই দামী। 'উ ফু রু ই' স্বর্ণ, রূপা, জেড ও মণি-মুক্তা দিয়ে তৈরি। এই 'রু ই' হলো শ্রেষ্ঠ। এর উপরে ছিং রাজবংশের পাঁচ সম্রাটের হাতের লেখা 'ফু' অক্ষর খোদাই করা আছে। সেজন্য একে 'উ ফু রু ই' বা 'পাঁচ কামনা রু ই' বলা হয়। এ 'রু ই' বহু ছেলে, বহু সম্পত্তি, বহু মাটি, দীর্ঘায়ু ও বহু কামনার প্রতীক। পাঁচ সম্রাটের মধ্যে তিন জনের নাম একসঙ্গে যুক্ত হলে 'টাকা বাসায় পৌঁছে গেছে' সেই অর্থ বোঝায়। এটি চীনাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় রু ই।