তিনি বলেন, 'আমি বড় ধরনের আত্মবিশ্বাস অনুভব করেছি। এ আত্মবিশ্বাস রাষ্ট্রীয় অবস্থার নির্দিষ্ট বিশ্লেষণ ও গভীর বোঝাবুঝির কারণে তৈরি হয়। চীনের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাসও রয়েছে, কারণ চীনের উন্নয়ন আমাকে বিশ্বাস দেয়, এর সঙ্গে সঙ্গে চীনের আত্মবিশ্বাস বিশ্বের উন্নয়নে সুযোগ বয়ে আনবে।'
সিডনি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক ইনস্টিটিউশনের উপ-প্রধান ড. জেমস লাউরেনসন চীনের উন্নয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে সুযোগ কাজে লাগাবে তা নিয়ে বেশ মনোযোগ দেন।
তিনি বলেন, 'এবার ব্যাপক মনোযোগী অধিবেশনে আমাদের বড় প্রত্যাশা রয়েছে। ২০১২ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০২০ সালে চীনের সার্বিক সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। চলমান চীনের উন্নয়নের প্রবণতা অনুসারে এ লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। তা শুধু চীনের উন্নয়ন নয়, বরং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশের জন্য কল্যাণকর। চীনের প্রচুর মধ্য ও উচ্চ শ্রেণীর ক্রেতারা অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন, শিক্ষা, মদ ও গরুর মাংস শিল্পে ব্যাপক স্বার্থ বয়ে এনেছে এবং অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সাথে যৌথ উন্নয়ন করবে।'
সাক্ষাত্কালে পিয়ার্সি আরো বলেন, আরো ভারসাম্যপূর্ণ মানদণ্ড দিয়ে অর্থনীতির উন্নয়নে পরিকল্পনা করে চীন, এর সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক ইস্যুতে দেশটির প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে। যেমন 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ, এআইআইবি'র নির্মাণ ইত্যাদি।এসব উদ্যোগ অন্যান্য দেশ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ভিন্ন কমিউনিটি, ভিন্ন সংস্কৃতির জন্য দরজা খুলেছে।
সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসে উত্থাপিত চীনের উন্নয়নের পথ নিয়ে ড. লাউরেনসন মনে করেন, নব্যতাপ্রবর্তনের চালিকা শক্তিতে অবিচল থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন খাতে চীনের ব্যাপক অতিক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের নেতৃত্বদানকারীতে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালে 'সুন্দর চীন' গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আশাবাদী তিনি। (সুবর্ণা/টুটুল)