হাসি ও করতালির পেছনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ
  2017-10-21 16:27:58  cri
"ভালো গল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জনগণ অন্য দেশের মূল্যবোধ বুঝতে পারে, বুঝতে পারে তাদের উন্নয়ন পথ ও সামাজিক ব্যবস্থা বাছাইয়ের কারণ।"

----সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি, (সিআরআই)-র পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকা কেন্দ্রের প্রধান পরিচালক সিয়া ইয়ং মিন।

সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-র পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকা কেন্দ্রের প্রধান পরিচালক সিয়া ইয়ং মিন সিআরআই তুর্কি ভাষা বিভাগে কাজ করেন, তাঁর কাজের বিষয় ট্রান্স-কালচার কমিউনিকেশন।

সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৩ সাল প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঞ্জানিয়া সফরকালে এক ভাষণে বলেন, "চীনা টেলিভিশন সিরিজ 'তোতো ও তার শাশুড়ী' তাঞ্জানিয়ায় প্রচারের ফলে দেশটির জনগণ চীনা সাধারণ জনগণের জীবনের হাসি-কান্না সম্পর্কে জানতে পেরেছে"।

এ কথা শোনার পর সভাকক্ষে উপস্থিত লোকজন করতালি দেয়। এ থেকে জানা যায়, স্থানীয়রা এই টিভি সিরিজ দেখেছে, বুঝেছে এবং পছন্দ করেছে। এমন উদাহরণ অনেক, যেমন মিশরে প্রচার করা 'চিন থাই লাংয়ের সুখী জীবন', মিয়ানমারে প্রচার করা 'পিতামাতার প্রেম' ইত্যাদি। যদি আমরা স্থানীয় লোকের ভাষা দিয়ে সঠিক উপায়ে গল্প বলি, তাহলে আমরা ভালো গল্প বলতে পারি, পাঠক আমাদের গল্প বুঝবে এবং পছন্দ করবে।

আমি মনে করি, ট্রান্স-কালচার কমিউনিকেশনের মধ্যে সংস্কৃতি হলো জনগণের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ও প্লাটফর্ম এবং যোগাযোগের ভালো বিষয়। সংস্কৃতির মধ্যে আমরা তার সারাংশ আবিষ্কার করি, তারপর এসব সারাংশের পরিচয়ের মাধ্যমে অন্য দেশের জনগণকে আরো ভালোভাবে চীনা জাতির মূল্যবোধ, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও উন্নয়ন পথ বোঝাতে পারি। (তুহিনা/টুটুল/সুবর্ণা)


© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040