কর্ম-প্রতিবেদন সম্পর্কে স্পষ্ট অনুভূতি নিয়ে ড. লি বলেন, এ প্রতিবেদনে চলমান চীনের সামাজিক উন্নয়নে প্রধান অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, সামাজিক প্রধান অসঙ্গতি জনগণের সুন্দর জীবনযাপনের চাহিদা আর ভারসাম্যহীন ও অসম্পূর্ণ উন্নয়নের সাথে অসঙ্গতিতে পরিণত হয়েছে। লি মনে করেন, 'ভারসাম্যহীন' আর 'অসম্পূর্ণ' এ দু'টি শব্দে অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে চীনের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহর ও গ্রামের ব্যবধান, আঞ্চলিক ব্যবধান, আয় ভাগাভাগি, পরিবেশের চ্যালেঞ্জ, আইনগত নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বক্তৃতার প্রভাব রয়েছে, এর কেন্দ্রীয় বিষয় ভারসাম্য উন্নয়ন। লি বলেন,
'একে একটি খুবই শক্তিশালী তথ্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আমি মনে করি এমন যুক্তিযুক্ত শব্দ যথাযথ সময়ে পেশ করা হয়েছে, তা চীনের উন্নয়নের নতুন অধ্যায়ের প্রতীক।'
সামাজিক প্রধান অসঙ্গতি পরিবর্তনের কারণে সিপিসি ও চীন সরকারের কর্মে নতুন অনুরোধ ও চাহিদা দাখিল করা হয়েছে। অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর গত ৫ বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীর গতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সমস্যার গুরুতর পরিবেশের সম্মুখীনে চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় প্রবেশ করেছে এবং বৈদেশিক উন্মুক্ত ও সংস্কার এবং সমাজতন্ত্রের আধুনিকীকরণে ঐতিহ্যবাহী সাফল্য অর্জন করেছে।
সিপিসিও সাহসের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি,পরীক্ষা ও পার্টির মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়ে দৃঢ় চরিত্র নিয়ে দুর্নীতি দমন করেছে এবং শৃঙ্খলা প্রশাসন করেছে, ফলে সিপিসি ও দেশের মধ্যে সংঘটিত গুরুতর ঝুঁকি নির্মূল করা হয়েছে। ড. লি মনে করেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার চালু করতে হবে চীনে। তিনি বলেন,
'আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে সিপিসি'র কর্তব্য হবে নতুন মতৈক্য তৈরি করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার চালু করা। যেমন বাজারকরণ, অব্যাহতভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগ উন্মুক্তকরণ, বিশেষ করে চীন আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক মুহূর্তে।'
লি আরো বলেন, ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, চীনের বৈশিষ্ট্যময় গণতান্ত্রিক আইন প্রশাসনিকব্যবস্থা নিজের উন্নয়নের পথ অনুসরণ করে থাকে। চীনের প্রতি আশা ও ধৈর্য বজায় রাখা উচিত সারা বিশ্বের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন ড. লি। তিনি বলেন,
'বিশ্বের ইস্যুতে মঞ্চের কেন্দ্রীয় এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে চীন। যেমন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সন্ত্রাসদমন ও পরমাণু বিস্তার রোধ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে চীনের ভূমিকা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে।'
লি আরো বলেন, বৈদেশিক ত্রাণ ও ইন্টারনেট নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে চীন আরো বেশি ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন তিনি। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীনের ভূমিকা নিয়ে আরো বেশি ইতিবাচক মূল্যায়ন করতে পারে। (সুবর্ণা/টুটুল)