অক্টোবর ১৯: আজ (বৃহস্পতিবার) চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা তদারক কমিশনের উপ-সম্পাদক, শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধানবিষয়ক মন্ত্রী, জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ ব্যুরোর মহাপরিচালক ইয়াং সিয়াও দু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের পর দুর্নীতি দমনে উচ্চ চাপ পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা আরো সুসম্পন্ন হবে। দুর্নীতি দমনের বেড়া আরো অটুট করে বাঁধা হবে। যাতে কর্মকর্তাদের দুর্নীতি করার সাহস না থাকে এবং দুর্নীতি করার ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটে। এভাবে দুর্নীতি দমন সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে।
ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের বিবরণীতে ১৩ বার 'পার্টির গঠন', সাত বার 'সার্বিক ও কঠোরভাবে পার্টি শাসন করা'-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিবরণীতে অভূতপূর্ব মাত্রায় পার্টির গঠনকাজ ও শাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং 'দুর্নীতি দমন সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন' এর নতুন লক্ষ্য স্থাপন করা হয়েছে।
বাইরের বিশ্ব চীনের জাতীয় তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সংস্কার কাজের ওপর বিশেষ নজর দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইয়াং সিয়াও দু বলেন, 'ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জাতীয় তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার সংস্কার এগিয়ে নেওয়া হবে। জাতীয় তত্ত্বাবধান আইনও প্রণীত হবে। এ আইনটি পার্টির অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান আর জাতীয় তত্ত্বাবধানের মিশ্র কাজ জোরদার করবে। এভাবে আমাদের তত্ত্বাবধানের আওতা আরো বিস্তীর্ণ হবে, তত্ত্বাবধানের শক্তি আরো কেন্দ্রীভূত হবে, তত্ত্বাবধানের কার্যকারিতা আরো ভালো হবে।'
কেউ প্রশ্ন করেন, কঠোরভাবে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তাদের পদত্যাগের আকাঙ্ক্ষা আছে কি?
কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছি ইয়ু এ বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা দলে স্থিতিশীল ছিল। প্রতি বছর পদত্যাগ করা সরকারি কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র মোট সংখ্যার ০.১ শতাংশ বা একটু বেশি। চীনে ৭০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা আছে, অর্থাত্ প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার জন পদত্যাগ করেন। ফলে পদত্যাগের প্রবণতা বলা যায় না।' (ইয়ু/টুটুল/রুবি)