অক্টোবর ১৯: সার্বিক সুষম সমাজ গঠনের সন্ধিক্ষণ ও চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশের নির্ণায়ক সময়ে সিপিসি'র ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেস গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। কংগ্রেসে সিপিসি'র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং প্রতিবেদন পেশ করেন। ৩০ হাজারেরও বেশি শব্দের এ প্রতিবেদন ইতিবাচক ও বিষয়সমৃদ্ধ। প্রতিবেদনে ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা আঁকা হয়েছে। এতে গত ৫ বছরে সিপিসি'র দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে এবং এখন থেকে ২০২০ সাল এমন কি এ শতাব্দীর মাঝামাঝি দিকে মহান পরিকল্পনা বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের ধারাবাহিক নতুন ভাবনা, নতুন সিদ্ধান্ত ও নতুন ব্যবস্থা বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। নতুন ঐতিহাসিক অবস্থান: চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এখন নতুন ঐতিহাসিক অবস্থানে আছে। সেটি হচ্ছে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।
সিপিসি ও রাষ্ট্রের কর্তব্য, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০ বছরের প্রক্রিয়া এবং অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর গত ৫ বছরে অর্জিত ঐতিহাসিক অগ্রগতি ও বিপ্লবের দিক থেকে নতুন যুগে প্রবেশ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন তত্ত্বগত নবত্যাপ্রবর্তনের সাফল্য: নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের ভাবনা প্রতিবেদনে নতুন তত্ত্বগত নবত্যাপ্রবর্তনের সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের ভাবনা হচ্ছে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ, মাওসেতুং ভাবনা, তেং সিয়াওপিং'র তত্ত্ব, 'তিনটি প্রতিনিধিত্ব' বিষয়ক ভাবনা, বৈজ্ঞানিক ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন এবং মার্ক্সবাদের চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও সর্বশেষ সাফল্য। নতুন পরিশ্রমের লক্ষ্য: সার্বিক সুষম সমাজ থেকে সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের দেশে পরিণত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিক সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সিপিসি প্রতিষ্ঠার একশ বছরের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের দেশ নির্মাণের নতুন যাত্রা সূচনা করা হবে, যা দ্বিতীয় 'একশ বছরের লক্ষ্য' বা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার একশ বছরের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিশ্রমের সূচনা। এছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন উন্নয়নের লক্ষ্য-আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। নতুন যুগে খাপ খাওয়ানোর জন্য নতুন ব্যবস্থা- পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরলস প্রচেষ্টা চালানো হবে। (রুবি/টুটুল/ইয়ু)