শিক্ষকের চীনা নাম 'এ চিয়া'। চীনের চে চিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর লেখাপড়া করেছিলেন তিনি। অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী। দেশে ফিরে আসার পর তিনি মেরিয়েন গোয়াবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ ও কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাথে কথা বলার মূল্যবান স্মৃতি স্মরণ করে তিনি খুবই আনন্দিত। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
'এই ঘটনা আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। আমার স্মৃতি থেকে তা কখনও মুছে যাবে না। চীনা প্রেসিডেন্ট আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, চীনা ভাষায় কথা বলা শিখেছেন? উত্তরে আমি বলেছিলাম 'হাং চৌ'। উনি আমাকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, কোন বছর থেকে কোন বছর পর্যন্ত চীনা ভাষা শিখেছেন? আমি বলেছিলাম '২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চার বছর শিখেছি।' আরও অনেক প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি। যেমন 'হাং চৌ কি ভাল লেগেছে?' আমি বলেছি ভীষণ, ভীষণ। কারণ হাং চৌ সত্যিকার এক ভাল জায়গা। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তখন উনিও হাং চৌতে কাজ করেছিলেন। তবে তখন পরিচয় ছিল না আমাদের'।
শিক্ষক 'এ চিয়া' চীনা প্রেসিডেন্ট সি'র সাথে মূলবান কথপোকথনের স্মৃতি ও সেইদিনের ছবি যত্ন করে রেখেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
'তারপর প্রেসিডেন্ট আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, আমাদের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটে শিক্ষকের দায়িত্ব কি চীনা ও স্থানীয় শিক্ষকের? উত্তরে আমি বলেছি যে, ইতোমধ্যেই দু'জন চীনা শিক্ষক এসেছেন । তবে গণতান্ত্রিক কঙ্গোর শিক্ষক শুধু একজন, আমি। আমাদের শিক্ষকের যোগ্যতার প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট সি। এটিও আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। আমি বলেছি যে, এই কাজ করতে পেরে আমি খুবই সৌভাগ্যবান বোধ করি। আমাদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসুয়ু নগেসুও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, চীনা ভাষা কত বছর শিখিয়েছেন? উত্তরে আমি বলেছি ছ'বছর। আমার কথা শুনে তিনিও অনেক আনন্দিত বোধ করেছেন। আমাকে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর উত্সাহ দেন'।
চীনা ভাষা অধ্যাপনা ছাড়াও বর্তমানে এ চিয়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সমসময় চীনের সংবাদপত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃতে চীনের উন্নয়ন বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
' চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একজন আস্থাবান শীর্ষ নেতা। তিনি খুবই মনোযোগ দিয়ে কাজ করে থাকেন। তাঁর ধারণা ও চিন্তাভাবনা খুবই সঠিক। আমি তাঁকে অনেক পছন্দ করি। আরেকটি কথা বলতে পারি, প্রেসিডেন্ট সি সিদ্ধান্ত নিতে দৃঢ়, অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ।চীনের বর্তমান উন্নয়ন বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। চীনা অর্থনৈতিক উন্নয়নরূপ এবং এই ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা গণতান্ত্রিক কঙ্গোর জন্যও উল্লেখযোগ্য'।
(ওয়াং হাইমান/মহসীন)