1020china
|
কথিত আছে, অতীতে চীনের বাদ্যযন্ত্র কুছিনের শিল্পী বোইয়া বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কুছিন বাজাতেন। তবে, তার সুরের অর্থ কেউ বুঝতে পারতো না। একবার মধ্য শরৎ উত্সবে বোইয়া নদীর তীরে বসে কুছিন বাজাচ্ছিলেন। এ সময় চোং জিছি নামে এক লোকের সঙ্গে তার দেখা হয়। জিছি তাঁর বাজানো সুর শোনার সঙ্গে সঙ্গে বোইয়ার কুছিনের সঙ্গেও পরিচিত হন। বোইয়া তাকে আরো কয়েকটি সুর বাজিয়ে শোনালেন। সুর শুনতে শুনতে জিছি বললেন, 'তোমার বাজনার মধ্যে উঁচু পাহাড় ও স্রোতধারা অনুভব করেছি।' একথা শুনে বোইয়া অনেক খুশি হলেন। বোইয়া অবশেষে এমন একজনকে খুঁজে পেলেন যে তার বাজনা বোঝে। তিনি তাঁর সুরের মাধ্যমে 'চি ইন' খুঁজে পেয়েছেন। তিনি জিছি'র সঙ্গে পরবর্তী বছর মধ্য শরৎ উত্সবে আবার দেখা করার জন্য সময় নির্ধারণ করেন। তবে পরের বছর বোইয়া জিছিকে জীবিত দেখতে পাননি। তিনি জিছি'র কবর দেখেন। বোইয়া তীব্র দুঃখ অনুভব করেন। তিনি জিছি'র কবরের সামনে 'উঁচু পাহাড়' সুরটি বাজান এবং কুছিন ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি বলেন, আমার একমাত্র 'চি ইন' আর থাকবে না, আমি আর কার জন্য সুর বাজাবো !
সেই থেকে হাজার বছর ধরে লোকরা এ গল্প শুনে মুগ্ধ হয়। বোইয়া তাঁর সুর বুঝতে পারা একমাত্র অন্তরঙ্গ বন্ধুকে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলেন। তাই চীনের মানুষ 'চি ইন' শব্দ দিয়ে পরস্পরকে শ্রদ্ধা করা বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বোঝায়।