1006china
|
কথিত আছে, প্রাচীনকালে সোং রাজবংশে এক চিত্রশিল্পী ইচ্ছামতো একটি ছবি আঁকলেন। অনেকেই বুঝতে পারলো না, কি ছবি এঁকেছেন তিনি! একদিন তিনি বাঘের মাথা আঁকলেন, আরেক বন্ধু তাঁকে ঘোড়া আঁকার জন্য অনুরোধ করেছিল। পরে তিনি বাঘের মাথার সঙ্গে জুড়ে দিলেন ঘোড়ার দেহ। বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করল, সেটি কি ? বাঘ না ঘোড়া? তিনি উত্তর দিলেন, 'বাঘ-ঘোড়া'। বন্ধু অসন্তুষ্ট হয়ে সেই ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখে চলে গেলো। এরপর চিত্রশিল্পীর বড় ছেলে এ ছবি দেখে জানতে চাইল, 'এটা কি?' তিনি বললেন, 'এটা বাঘ।' ছোট ছেলে একই ছবি দেখে তাকে একই প্রশ্ন করলো, তিনি বললেন, 'এটা ঘোড়া।' কয়েকদিন পর তার বড় ছেলে শিকার করার সময় রাস্তায় বাঘ মনে করে একটি ঘোড়া মেরে ফেললো। চিত্রশিল্পী ঘোড়ার মালিককে অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। আরো কিছু দিন পর ছোট ছেলে বাঘ দেখে ঘোড়া মনে করলো এবং তার পিঠে চড়তে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারাল। এ দু'টি ঘটনায় অনেক দুঃখ পেয়ে চিত্রশিল্পী 'বাঘ ও ঘোড়ার' ছবি আগুনে জ্বালিয়ে দিলেন। আর তখন থেকেই 'অসাবধানতা' শব্দটি বোঝাতে 'মাহু' বা 'মামাহুহু' শব্দের প্রচলন শুরু হয়।