আজকের টপিক: সামুদ্রিক রেশমপথ মেলা, ২০১৭
  2017-09-18 17:51:40  cri


আগামী ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের তোংকুয়ান শহরে অনুষ্ঠিত হবে 'সামুদ্রিক রেশমপথ মেলা, ২০১৭'। মেলায় ৫৬টি দেশ ও অঞ্চলের ১৬৮২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।

মেলার অংশ হিসেবে ২২ সেপ্টেম্বর কুয়াংচৌ শহরের প্রাচ্য হোটেলে 'আলোচনা এবং যৌথ নির্মাণ ও ভোগের মাধ্যমে শিল্প-সহযোগিতার বিকাশ ঘটানো' শীর্ষক ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। 'আজকের টপিকে' আমরা সামুদ্রিক রেশমপথ মেলা নিয়ে আলোচনা করবো।

এ বারের মেলায় একটি মূল প্রদশর্নী ও ছয়টি অন্যান্য প্রদর্শনী থাকবে। মূল প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে 'বাণিজ্যিক সুযোগ বিনিময় ও সহযোগিতা' এলাকা, 'তথ্যপ্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন' এলাকা, এবং 'সীমান্তে ইলেক্ট্রনিক পণ্য বাণিজ্য ও পণ্য স্থানান্তর' এলাকা। অন্যান্য প্রদর্শনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে 'সামুদ্রিক রেশমপথ পর্যটন ও সংস্কৃতি স্টেশন', 'আন্তর্জাতিক স্থাপত্যের উপকরণ ও নির্মাণসামগ্রী প্রদর্শনী', 'সামুদ্রিক রেশমপথসংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ খাদ্য ও কৃষিজাত দ্রব্য', 'আন্তর্জাতিক চা সংস্কৃতি প্রদর্শনী', 'আন্তর্জাতিক চীনামাটি সংস্কৃতি প্রদর্শনী' এবং 'আন্তর্জাতিক রেশম সংস্কৃতি প্রদর্শনী'।

সামুদ্রিক রেশমপথ মেলার মহাসচিব, কুয়াংতোং প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের উপপ্রধান উ চুন গণমাধ্যমকে বলেছেন, "এ বছরের সামুদ্রিক রেশমপথ মেলার আকার ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে। এবার প্রদর্শন-ক্ষেত্রের আয়তন এক লাখ বর্গমিটারে পৌঁছাবে, যা গত বছরের চেয়ে ৪২.৮ শতাংশ বেশি।"

এবারের মেলায় ৫৬টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে। গত বছরের চেয়ে অংশগ্রহণকারী দেশ ও অঞ্চল বেড়েছে চারটি। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মেলায় প্রথমবারের মতো ইরান, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও রোমানিয়ার জাতীয় প্যাভিলিয়ন থাকছে। এ থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, সামুদ্রিক রেশমপথ মেলার আন্তর্জাতিক প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে।

মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের জনপ্রিয় পণ্য দেখা যাবে; যেমন, শ্রীলংকার নীলমণি ও কালো চা; ইরানের হস্তনির্মিত রেশমী পণ্য, জাফরান ও বাদাম; রাশিয়ার ওয়াইন ও মধু; দক্ষিণ আফ্রিকার হীরা ও অ্যালোভেরা জেল; ইতালির রেড ওয়াইন ও জলপাইয়ের তেল; মালয়েশিয়ার পাখির প্রাকৃতিক বাসা ইত্যাদি।

এবারের সামুদ্রিক রেশমপথ মেলাকে 'কুয়াংতো, হংকং ও ম্যাকাও কৌশল'-এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে মেলার আকর্ষণ বেড়েছে। প্রদর্শনীতে 'কুয়াংতোংয়ের সাথে সিনচিয়াং ও তিব্বত সহযোগিতা' এবং 'কুয়াংতোং ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রের সহযোগিতা'-র বিষয়ও যুক্ত হবে। এতে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়নকাজে কুয়াংতোংয়ের অর্জিত সাফল্যের প্রমাণ মিলে।

সামুদ্রিক রেশমপথ মেলার মূল ফোরামে এবার কুড়িটির বেশি দেশের বণিক সমিতি 'আন্তর্জাতিক ব্যবহারিক চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ সহযোগিতা'-সংক্রান্ত স্মারকলিপি স্বাক্ষর করবে। এর ফলে বিশ্বে চীনা ভাষা আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করা যায়। এতে বিদেশের সাথে চীনের ব্যবসাও নতুন শক্তি পাবে।

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ ১৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।

মেলা চলাকালে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সাংবাদিকরা তোংকুয়ানে যাবেন, মেলা কাভার করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করবেন। প্রদর্শনী হলে চীনা ও বাঙালি ব্যবসায়ীদের ভিডিও-সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা করবেন সিআরআই সাংবাদিকরা। সম্ভব হলে তা সরাসরি ফেসবুকে প্রচার করা হবে। তা ছাড়া, মেলার সকল খবরাখবরও সিআরআই ওয়েবসাইট ও সিআরআই ফেসবুক পেজে প্রচার করা হবে।

বন্ধুরা, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আমাদের ফেসবুক পেইজে তোংকুয়ান থেকে সরাসরি লাইভে থাকবো আমরা। আশা করি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। (ইয়ু/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040