চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কেং শুয়াং গতকাল (মঙ্গলবার) এ তথ্য জানিয়েছেন।
এবার ব্রিক্সভুক্ত দেশের শীর্ষসম্মেলনে ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চীন। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিক্সভুক্ত দেশের অর্থনীতি ও প্রযুক্তি সহযোগিতা এবং বিনিময় পরিকল্পনায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ কোটি রেনমেনপি প্রদান করা। এ ছাড়া, নতুন উন্নয়ন ব্যাংকের প্রকল্পে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়া ইত্যাদি।
কেউ কেউ মনে করেন, এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রিক্স সহযোগিতায় চীনের নেতৃত্বের অবস্থান জোরদার করেছে বেইজিং, যাতে পাশ্চাত্য দেশের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন করা যায়।
এ সম্পর্কে চীনা মুখপাত্র বলেন, ব্রিক্সভুক্ত দেশের সহযোগিতায় বরাবরই সদস্যদেশগুলো পরস্পরকে সম্মান করে থাকে, অমিল পাশে রেশে মিল অন্বেষণ করে। এখানে যে-কোনো বিষয়ে পরামর্শ করা যায়। নির্দিষ্ট কারো কথা শুনতে হবে-এমন সমস্যা তৈরি হয় না। ব্রিক্স সহযোগিতায় অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা হয়, এতে বিভিন্ন সদস্যদেশের আশাআকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে এবং ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশের আশাবাদের প্রতিনিধিত্ব করে। ব্রিক্স সহযোগিতায় চীনের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সিয়ামেন শীর্ষসম্মেলনে উত্থাপিত প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হল ব্রিক্সভুক্ত দেশের সহযোগিতা জোরদার করা এবং নবোদিত বাজার দেশ ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ঐক্য ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। (সুবর্ণা/টুটুল/শিশির)