সিয়ামেন ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলন নিয়ে 'খোলামেলা'র বিশেষ আয়োজন (২)
  2017-09-05 17:24:17  cri



'ব্রিক্স' বর্তমান বিশ্বের একটি সুপরিচিত অর্থনৈতিক জোট। এ জোটের সদস্যরাষ্ট্রগুলো হচ্ছে: ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এ পাঁচটি উদীয়মান দেশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই ব্রিক্সের নবম শীর্ষসম্মেলন ৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর চীনের ফুচিয়েন প্রদেশের সিয়ামেন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের শীর্ষসম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে: 'ব্রিক্স অংশীদারি সম্পর্ক জোরদার করে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানো'।

আজকের 'খোলামেলা' আসরে ব্রিক্সের নবম শীর্ষসম্মেলন নিয়ে কথা বলছি চীনের উহান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলাজির 'এক অঞ্চল, এক পথ গবেষণা কেন্দ্রের' গবেষক ডাঃ মোস্তাক আহমেদ গালিবের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে উহান ইউনিভার্সিটিতে 'এক অঞ্চল, এক পথ' বিষয়ে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি করছেন।

নিচে ড. মোস্তাক আহমেদ গালিবের সাক্ষত্কারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

১। এবারের ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলনে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর শিল্প ও বাণিজ্য ফোরাম, ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের আলোচনা এবং উদীয়মান বাজার দেশ ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এসব ইভেন্টের মধ্যে কোনটির ব্যাপারে আপনি বেশি আগ্রহী এবং কেন?

চীনের সিয়ামেন শহরে নবম ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে শিল্প বাণিজ্য ফোরাম ,উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশ বিষয়ক আলোচনা। মুল আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে 'উজ্জ্বতর ভবিষ্যতের জন্য আরো ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক'যা উদীয়মান বাজারে টিকে থাকবার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলর একরকম যোজনা – এই তাগিদ থেকেই উঠে এসেছে New Development Bank (NDB ধারনা – যা কিনা এই মুহূর্তে ব্রিকস এর একমাত্র দৃশ্যমান সাফল্য।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে উন্নয়নশীল বিশ্বে। বিশ্বব্যাংক সমাজসেবা করে না। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা যে সাহায্য দেয়, এটা তাদের বিনিয়োগ। সুদসহ তারা আসল বুঝে নেয়। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের ঋণ পলিসি নিয়ে নানা কথা আছে। যারা পল ব্যারেন, রাউল প্রোবিস, গ্রাহাম হেনকক, পল সুইজি, এজি ফ্রাংক কিংবা সামির আমিনের লেখার সঙ্গে পরিচিত, তারা জানেন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ঋণ কেন দেয়, তাদের স্বার্থ কী এবং ঋণের বিনিময়ে তাদের প্রাপ্তি কী।

অনেকের স্মরণ থাকার কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনে (২০১৩) প্রদত্ত ভাষণে বিশ্বব্যাংকের সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া ৬০ বছরের পুরনো ক্ষমতার সমীকরণের প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী যা বলতে চেয়েছেন তা হচ্ছে, বেটন উডস (১৯৪৪) সম্মেলনের পর অনেক দিন পার হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত।

বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল বিশ্বকে আর্থিক সহায়তা দেয়, এটা সত্য। কিন্তু শর্ত থাকে শুধু তাই নয়, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশেও বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা একেবারে বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন নিয়ে বাংলাদেশে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে ফিরে আসবে বলা হলেও বিশ্বব্যাংক আর ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ এখন স্বউদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে।

বিশ্বব্যাংকের ঋণের সঙ্গে কাঠামোগত সামঞ্জস্যের একটি কথা শোনা যায়। বাংলাদেশে এটি ব্যাপকভাবে পরিচিত। এটা হচ্ছে এক ধরনের সুপারিশমালা। বিশ্বব্যাংক ঋণের শর্ত হিসেবে এই কাঠামোগত সামঞ্জস্যের কথা বলে থাকে। কাঠামোগত সামঞ্জস্যের নামে বিশ্বব্যাংক যেসব শর্ত আরোপ করে থাকে তা অনেকটা এ রকম : ১. গ্রহীতা দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ২. সরকারি ব্যয় হ্রাস, ৩. শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খাদ্যসহ সেবামূলক খাত ও কৃষি খাতে ভর্তুকি হ্রাস, ৪. প্রকৃত মজুরি হ্রাস ও ঋণ সংকোচন, ৫. দাম নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার, ৬. জনসেবামূলক খাত, কৃষি উপকরণ, বিদ্যুত্, রেলওয়ে বেসরকারিকরণ, ৭. কর ও সুদের হার বাড়ানো, ৮. আমদানি অবাধ করা, ৯. মুক্তবাজার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।

অনেক জাতীয়তাবাদী সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে শুধু তাদের কথামতো না চলার জন্য (ইরানেয় মোসাদ্দেক ১৯৫৩ সালে, গুয়াতেমালায় আরবেনজ ১৯৫৪ সালে, ব্রাজিলে গাউলাট ১৯৬৪ সালে, ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্ন ১৯৬৫ সালে, ঘানায় নক্রুমা ১৯৬৬ সালে, মালিতে কাইটা ১৯৬৮ সালে, চিলিতে আলেন্দে ১৯৭৩ সালে)। শুধু ১৯৭৬ সালে এককভাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বব্যাংক থেকে যত ঋণ পেয়েছে, এর আগের ২০ বছরেও দেশটি বিশ্বব্যাংক থেকে এত ঋণ পায়নি।

মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাংক থেকে একবার ঋণ নিলে সেখান থেকে আর বের হয়ে আসা যায় না। ব্রাজিল একবার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ডিফল্টার হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক দেশটিকে আবারও ঋণ দিয়েছিল, যাতে ব্রাজিল ঋণের সুদ পরিশোধ করতে পারে। না হলে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় বিপর্যয় দেখা দিত। এজন্যই ঋণের পরিমাণ বাড়লেও বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয়া অব্যাহত রাখে।

আজ তাই বিশ্বব্যাংকের যে সংস্কারের কথা উঠেছে, তাতে অযৌক্তিক কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বব্যাংক আদৌ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেবে, এটা মনে হয় না। তাই সঙ্গত কারণেই ব্রিকস ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে থাকবে সবাই। কিন্তু কাজটি খুব সহজ হবে বলে মনে হয় না। এর ভবিষ্যুত্ অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। দুই বড় অর্থনৈতিক শক্তি চীন ও ভারতের মাঝে সম্পর্ক আগামী দিনে কোন পর্যায়ে দাঁড়ায়, চীনের ভূমিকা ব্যাংক পরিচালনায় কী হবে, কিংবা ঋণের ধরন কী হবে- এসবের ওপর ব্রিকস ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নির্ভর করছে।

২। গত দশ বছরে বিশ্বের অর্থনীতিতে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর অবদান ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া, বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর অবদান অর্ধেকেরও বেশি। আগামী দশ বছরে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলো উন্নয়নের পথ ধরে কতোটা এগুবে বলে আপনি মনে করেন?

বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনগণ ও ২৫ শতাংশ এলাকা এ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত এবং তারা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ২৫ শতাংশের অধিকারী। ব্রিকস দেশগুলো বর্তমানে বৈশ্বিক মুদ্রা রিজার্ভের ৪৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্রিকস একটি অভিন্ন সহযোগিতার ফোরাম। হয়তো আগামীতে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা ৫টিরও বেশি হবে, সেই ক্ষেত্রে ব্রিকস এর চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাবে ।

তাছাড়া, আমরা যদি আন্তর্জাতিক সফল সংগঠনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে জি-৭(একটি ক্লাব), ন্যাটো (একটি এল্যান্স), ইইসি (একটি ইউনিয়ন) এবং ইইউ (একটি কোর্পোরেশন)। আমরা এমন অনেক অসফল চেষ্টাও দেখেছি, যেখানে সফলতার হার আসলে খুব কম। পরিবর্তিত পরিস্থিথি আঁচ করতে না পারা ও তার ফলে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক ও অরথনইতক পদক্ষেপে অক্ষমতা বেশীরভাগ আন্তর্জাতিক ফোরাম এর অসফলতার মুল কারণ। সদস্যদের মধ্যকার সার্বিক দ্বন্দ্ব ও একটি বড় কারণ- আগামী দশ বছরে ব্রিক্স এর উন্ননয়নের মুল প্রতিপাদ্য হবে এসব চ্যালেঞ্জ ও তার মোকাবিলায় সঠিক ও দ্রুত পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেখতে হবে এর সঙ্গে যেন 'এক অঞ্চল এক পথ' প্রকল্পের সামঞ্জস্য থাকে।

৩। জাতিসংঘের 'টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, ২০৩০' বাস্তবায়নে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

গত দশ বছরে, ব্রিক্স সহযোগিতায় তিনটি চালিকাশক্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা, পারস্পরিক অর্থনৈতিক উপকারিতা এবং মানুষে মানুষের বন্ধন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মকাবিলায় দ্রুত ও পর্যাপ্ত কার্যক্রম গ্রহন করা জরুরী- বিনিয়োগ এই ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেকসই উন্নয়ন এজেন্টা ২০৩০ বাস্তবায়ণে অন্তত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ লাগবে। আর এটা শুধু সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে, অবকাঠামো উন্নয়ন করতে গেলে আরো বেশি বিনিয়োগ লাগবে। কিছু কিছু উপাত্ত থেকে জানা যায় যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কেবল উদীয়মান দেশগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়নে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। বিশ্বের মধ্যে নব্যায়ন জ্বালানি উন্নয়ন করতে গেলে আরো ডাজন ট্রিলিয়ন ডলার লাগতে পারে।

প্রযুক্তিগত, আর্থিকগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনও একক দেশের পক্ষে এই বোঝা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহন করা মুশকিল। এখানেই ব্রিক্সের যথার্থতা। উদাহরণ স্বরূপ চীনা কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং সক্ষমতা এখন অনেক বেশি, ষাটের ও সত্তরের দশকে কঠিন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পগুলোর জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ইউরোপ বা আমেরিকার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো, আশি ও নব্বই-এর দশকে দেখা গেল জাপানি বা কোরিয়ান কম্পানিগুলো ও এই কাজে দক্ষ – আর এখন চীনা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে –যা সাধুবাদ জানানোর যোগ্য। ব্রিক্স এ ক্ষেত্রে প্রকল্প ফাইনেন্স-এর বাবস্তা করে এই কাজগুলো আরও সহজ করে দিতে পারে। যা কিনা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক সাহায্য করবে।

৪। ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা আরও বাড়াতে কী করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

ব্রিকস এর বর্তমান সদস্য সসংখা ৫। এই ৫টি দেশের আকার, কৃষ্টি, অর্থনীতি, ভৌগলিক অবস্থা সবই আলাদা। কেবল অর্থনীতির দিকে দেখলে এই ৫ টি দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেখানে ৩টি দেশ মূলত উত্পাদনের কাঁচামাল (প্রাকৃতিক/খনিজ) এর সরবরাহকারী ও ২টি দেশ মূলত কাঁচামাল ব্যবহারকারি বা উত্পাদক। এটি একটি জটিল সমীকরণ, কেননা সব কাঁচামাল সরবরাহকারীই কোনও না কোন সময় উত্পাদক হতে চায়। এ কারনেই কমরেড শি জিন পিং তার বক্তব্যে 'অন্যের চিজ-এ(cheess) হাত না দিয়ে সবারই পাই(pie) আরো বড় তৈরী করার' কথা বলেছেন। অপরদিকে জাকব জুমা চেয়েছেন প্রকল্প সাহায্য যেন আফ্রিকার উন্নয়ন প্রকল্পে নয় এবং মানুষের দক্ষতা বাড়ানো ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ক্ষেত্রে ও বিস্তৃত করা হয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে দেশগুলো এই অবশ্যম্ভাবী স্বার্থের সংঘাত সম্পর্কে সচেতন। এছাড়াও অন্যান্য অনেক দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদিও রয়েছে, যা বহুপাক্ষিক এই ফোরামের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। এইজন্য আমি মনে করি কোনও বিশেষ দেশের সরকার প্রধানের চেয়ে বরং একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নির্বাহী বিভাগ (executive body) যদি ব্রিকস পরিচালনা করে তাহলে অনেক ক্ষেত্রই আস্থা বাড়বে, সিদ্ধান্ত নেয়াও অনেক সহজ হবে। আমার মনে হয় একটি ব্রিকস সচিবালয় এখন সময়ের দাবি, এটি আলোচনার ভিত্তিতে হতে পারে। হতে পারে এটি সাংহাই'তে , কিংবা মুম্বাই'তে, কিংবা জহানেসবার্গে, মস্কো কিংবা রিও দি জেনিরো'তে। এর ফলে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সজহ হবে ও সহযোগিতা বাড়বে।

ব্যাংকিং কার্যক্রম জোরদার ও সম্প্রসারণ আস্থা বাড়ানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। ব্যাংকটি ইতোমধ্যে ব্রিক্স দেশগুলোর ৭টি ক্রিডিট লাইনের জন্য ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে এবং চলতি বছরের মধ্যে আরো ২.৫ থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রকল্প বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্বাধীন একটি নির্বাহী ক্ষমতা উচিত্ যা প্রকল্পের একেবারে শুরুর দিকে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের সাথে যুক্ত থাকবে ও সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোম্পানিগুলো দ্রুত প্রকল্প সহায়তা পেতে চাপ সৃষ্টি করে- মনে রাখতে হবে কোম্পানি একটি লাভজনক সত্তা কিন্তু ব্রিক্স একটি অলাভজনক ফোরাম। (স্বর্ণা/আলিম/মুক্তা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040