সেপ্টেম্বর ৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল (রোববার) সিয়ামেন শহরে এক বৈঠকে মিলিত হন।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি রাশিয়া সফরকালে দু'দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগী অংশীদারি সম্পর্ক গভীর করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছান। দু'দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নেতাদের মতৈক্য বাস্তবায়ন করে নানা ক্ষেত্রের সহযোগিতার অগ্রগতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দু'পক্ষের উচিত্ স্থাপিত উচ্চ রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা সুসংবদ্ধ করা ও পারস্পরিক সমর্থন ও কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা। দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ব্যবস্থার ভূমিকা পালন করে জ্বালানি, মহাকাশযান ও পরমাণু বিদ্যুত্সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত বলেও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন, দু'দেশের 'এক অঞ্চল, এক পথ' ও 'ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক ইউনিয়ন'-র সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে আন্তঃযোগাযোগসহ নানা প্রকল্প যুক্ত করা উচিত, যা দু'দেশের প্রতিবেশি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর।
সি চিন পিং আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিক্স সহযোগিতা জোরদার করে আন্তর্জাতিক ব্যাপারে আরো ভূমিকা পালন করা ব্রিক্সভুক্ত দেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটা আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে নবোদিত বাজার দেশ ও উন্নয়নশীল দেশের প্রত্যাশা। আমাদের উচিত্ সংহতি ও সহযোগিতা সুসংবদ্ধ করে বিশ্বমুখী ইতিবাচক সংকেত পাঠানো; সামগ্রিক অবস্থা দেখে ব্রিক্স সহযোগিতার দিক পরিকল্পনা করা; সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করে আন্তর্জাতিক ব্যাপারে ব্রিক্সের প্রভাব বাড়ানো।
পুতিন বলেন, তার দেশ চীনের সঙ্গে বিনিয়োগ, জ্বালানি, কৃষি, অবকাঠামো ও মহাকাশযানসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীরতর করতে চায়। সংস্কৃতি, শিক্ষা, ক্রীড়া, তথ্যমাধ্যম, পর্যটন ও আঞ্চলিক সরকারের যোগাযোগসহ দু'দেশের বিনিময় বাড়াতেও ইচ্ছুক তিনি।
বৈঠকে দুই প্রেসিডেন্ট অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন। তাঁরা বিনিময় ও যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে একমত হন এবং কোরীয় উপদ্বীপ নিয়ে তাদের লক্ষ্যের পরিবর্তন হবে না বলে জানান। উত্তর কোরিয়া আবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোয় যে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা যথার্থভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। (শিশির/টুটুল/সুবর্ণা)