প্রিয় শ্রোতা, শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনুন আমাদের নিয়মিত আয়োজন সংবাদ পর্যালোচনা; পরিবেশন করছি আমি লেলিন।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর চীনের সিয়ামেনে শুরু হতে যাচ্ছে নবম ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলন। এরই মধ্যে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ চীনে আসতে শুরু করেছেন। প্রথমে এসেছেন তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখ্মোন। ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর বাইরের যে-কটি দেশের নেতৃবৃন্দকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাজিকিস্তান সেগুলোর একটি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বেইজিংয়ে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন। প্রেসিডেন্ট ইমোমালি নবোদিত বাজার-দেশগুলোর সাথে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সভায় অংশ নেবেন।
চীনা জনগণের ভালো বন্ধু প্রেসিডেন্ট রাখ্মোন বেশ কয়েকবার চীন সফর করেছেন। ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি বেইজিং এলেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাকে স্বাগত জানান এবং দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এমোমালির সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, "প্রিয় প্রেসিডেন্ট রাখ্মোন, আমার বন্ধু, আমি আপনাকে ও আপনার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাই। গত জুনে আস্তানায় শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনে আমাদের দেখা হয়েছিল। ৩ মাস পর এখন আপনার সঙ্গে আবার আমার সাক্ষাত হলো। চীন ও তাজিকিস্তানের বিশেষ সম্পর্ক এতে প্রতিফলিত হয়।"
সি চিন পিং বলেন, দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর ২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বরাবরের মতোই চীন তাজিকিস্তানের সাথে সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে, পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করবে, পারস্পরিক কল্যাণে যৌথভাবে কাজ করে যাবে, এবং সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, দু'দেশ পরস্পরকে সম্মান করে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সমর্থন করে। দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০১৩ সালে চীন ও তাজিকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই দু'দেশের মধ্যে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ছে, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে, এবং বাস্তব সহযোগিতার মানও ক্রমশ বাড়ছে। চীন-তাজিকিস্তান সম্পর্ক প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের একটি দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।
জবাবে প্রেসিডেন্ট রাখ্মোন বলেন, "চীন আমাদের ভাল বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশ। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় দু'দেশের সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি রাজনীতি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বাস্তব সহযোগিতাও চলছে। চীন হচ্ছে তাজিকিস্তানের গুরত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার।'
তিনি তাকে ব্রিক্স শীর্ষসম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে অভিনন্দনও জানান।
(লেলিন/আলিম/স্বর্ণা)