শ্রোতাবন্ধুরা, গত সেপ্টেম্বর শনিবার অর্থাৎ ১৪৩৮ হিজরী ১০ জিলহজ্জ বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আযহা। ঈদ অর্থ উৎসব বা আনন্দ, আযহা অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, উট কিংবা দুম্বা কোরবানি বা জবাই দেয়। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামে বেশি পরিচিত। আর এই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলাদেশের সর্বত্র জমে উঠেছে কোরবানির পশু বিক্রয়ের হাট। কোরবানির ঈদের আনন্দ মানেই হাটে গিয়ে গরু কেনা। মূলত কোরবানির হাটে কেউ গরু কিনতে যান, কেউ গরু বিক্রি করতে যান আবার কেউ কোরবানির হাটের হালচাল
দেখতে যান। এই কোরবানির হাটে যাওয়া নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নানান স্মৃতি। হতে পারে সেটা কারো আনন্দের আবার কারো তিক্ত স্মৃতি। আর দশটা মানুষের মতো আমাদের শ্রোতাদেরও রয়েছে এমন কিছু মধুর কিংবা তিক্ত স্মৃতি। আমরা কয়েকজন শ্রোতার কাছ থেকে সেই স্মৃতি বা অভিজ্ঞতার গল্প জানার চেষ্টা করেছি। আর এ নিয়ে আমাদের আজকের বিশেষ অনুষ্ঠান "স্মৃতিতে কোরবানির পশুর হাট"। বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাদের সাথে সঙ্গ দিচ্ছি আমি দিদারুল ইকবাল। শ্রোতাবন্ধুদের পাশাপাশি আজকের বিশেষ আয়োজনে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ড. মির শাহ আলম। আশা করি শ্রোতারা আনন্দের সাথে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন। শ্রোতাবন্ধুরা, আমি এখন কথা
বলছি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ড. মির শাহ আলমের সাথে। আপনাকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঈদুল আযহার বিশেষ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি। এই ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ অন্যান্য মুসলিম দেশের মত বাংলাদেশের মুসলমানেরাও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে পালন করে। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ২/৩ সপ্তাহ আগে থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পশুর হাট বসে তবে সেটা গরুর হাট হিসেবে বেশি পরিচিত। যেসব মুসলিম পরিবার কোরবানি দিয়ে থাকেন তারা বিভিন্ন হাটে ঘুরে তাদের পছন্দের গরু, ছাগল, ভেড়া, উট কিনে থাকেন। ঐসময় একটি বৃহৎ উৎসবের আমেজ তৈরী হয়। আপনিও নিশ্চয় শৈশবে, যৌবনে কিংবা এখনো হয়ত কোরবানির হাটে যান। এই কোরবানির হাটে যাওয়া বা পশু কিনার যে আনন্দ, আগ্রহ বা আপনার যে কোন স্মৃতি বা অভিজ্ঞতার কথা যদি আমাদের সাথে শেয়ার করেন…….. (১) ড. মির শাহ আলম, পরিচালক- বাংলাদেশ বেতার। (২) আজিনুর রহমান লিমন, নীলফামারী। (৩) মো. আবদুল হালিম, কুমিল্লা। (৪) এম.এম.গোলাম সারোয়ার, ফরিদপুর। (৫) গোলাম আজম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। (৬) মোবারক হোসেন ফনি, টাঙ্গাইল। (৭) এম.এইচ.মামুন রশীদ, কিশোরগঞ্জ। (৮) মো. ফোরকান, চট্টগ্রাম। (৯) এস.এম.আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা। (১০) জিহাদুর রহমান, চট্টগ্রাম। (১১) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নওগাঁ।
(১২) এম.এ.ছালাম, কিশোরগঞ্জ। (১৩) মো. ওসমান গণী, ভাইস চেয়ারম্যান- সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশ। শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এতক্ষণ শুনছিলেন ঈদুল আযহার কোরবানির হাট নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান "স্মৃতিতে কোরবানির পশুর হাট"। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় অসংখ্য হাট বসেছে। এসব হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ কেনা-বেচা জমে উঠেছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে গরু-ছাগলের বেচা-কেনা। হাট গুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের পশুটি কেনার জন্য। অধিকাংশ ক্রেতা বাড়ি ফিরছেন কোরবানির গরু কিংবা ছাগল কিনে। কেউ কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে যারা পশু কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছেন তারা যাতে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ভাবে হাট থেকে পশু কিনে ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে পারেন আমরা সেই প্রত্যাশা করি। সবাইকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর শনিবার ঈদের দিন আমাদের আরো একটি বিশেষ অনুষ্ঠান শোনার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং সেই সাথে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা-- ঈদ মোবারক। দিদারুল ইকবাল চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলাদেশ।