0825china
|
২৬০০ বছর আগে চীনের মানুষ 'সুয়ান ফান' বা গণনাযন্ত্র উদ্ভাবন করেছিল। একটি কাঠের কাঠামোর মধ্যে কাঠি ও গুটি দিয়ে গঠিত হয় সুয়ান ফান। গুটিগুলো কাঠির মধ্যে উঠানামা করে। গুটিকে কাঠির মধ্যে উঠানামা করিয়ে হিসাব করা হয়। সুয়ান ফান একটি সরল গণনাযন্ত্র। কয়েকটি সহজ গণনাসূত্র শিখে নিলে, এ যন্ত্র দিয়ে জটিল যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ খুব দ্রুত করা যায়।
সুয়ান ফান তত্কালের শ্রেষ্ঠ গণনাযন্ত্রগুলোর অন্যতম। চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ডক্টর জোসেফ নিডহ্যাম 'সুয়ান ফান'-কে চীনের 'পঞ্চম মহান উদ্ভাবনা' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সুয়ান ফানে দক্ষ একজন ব্যক্তি ক্যালকিউলেটরের চেয়েও দ্রুত গতিতে হিসাব করতে পারেন। অনেকেই বাচ্চাদের মাথা, চোখ ও হাতের সমন্বিত দক্ষতা বাড়াতে তাদের 'সুয়ান ফান' ব্যবহার শিখিয়ে থাকেন। অনেক চীনা মানুষ এখনও গণনার জন্য 'সুয়ান ফান' ব্যবহার করেন।
প্রাচীনকালে 'সুয়ান ফান'-এ দক্ষ ব্যক্তির কাজ ছিল অনেকটা আজকের হিসাবরক্ষকের মত। খুব চালাক বা বুদ্ধিমান ব্যক্তি বোঝাতে একসময় 'সুয়ান ফানে দক্ষ' শব্দগুচ্ছের ব্যবহার শুরু হয়। আবার খুঁটিনাটি বিষয়েরও হিসাব রাখতে অভ্যস্ত ব্যক্তিকে বোঝাতে 'ছোট সুয়ান ফানে দক্ষ' শব্দগুচ্ছের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি অবশ্য ব্যবহৃত হয় নেতিবাচক অর্থে।
'সুয়ান ফান' দিয়ে শুধু হিসাব করা হয় তা নয়, এটি শুভ কামনার ইঙ্গিতবহও বটে। আর তাই 'সুয়ান ফান'-এর আকৃতিতে তৈরি চুলের কাটার ব্যবহার দেখা যায়।