সাক্ষাৎকালে ফান বলেন, দু'দেশের নেতৃবৃন্দ উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। এই সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীল অংশে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা করে বেইজিং। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নতি হচ্ছে। প্রতিরক্ষা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বজায় রয়েছে। সামরিক খাতের পারস্পরিক ব্যবস্থাপনা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তবে তাইওয়ান সমস্যা, চীনের প্রতিবেশী দেশে ক্ষেপনাস্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা- থাড মোতায়েন, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন জঙ্গি বিমান ও জাহাজের তত্পরতা আর চীনের প্রতিবেশী দেশের আকাশ ও সামুদ্রিক এলাকায় মার্কিন বাহিনীর পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন ভুল আচরণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ প্রয়াসে চীন দু'দেশের নেতৃবৃন্দের মতৈক্য বাস্তবায়ন করবে, সহযোগিতার সম্ভাবনা খুঁজে বের করবে, সঠিক উপায়ে মতভেদ ও উত্তেজনা প্রশমন করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংলাপ ও আলোচনা হবে কোরীয় উপদ্বীপের সমস্যা সমাধানের একমাত্র পদ্ধতি, সামরিক বল প্রয়োগ নয়। বিভিন্ন পক্ষের উচিত সংযম বজায় রেখে এতদাঞ্চলের পরিস্থিতির উত্তেজনা প্রশমন করা। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে যৌথভাবে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যার সমাধান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করেন তিনি।
জবাবে ডানফোর্ড জুলাই মাসের শেষ দিকে মার্কিন নৌ বাহিনীর ডুবে যাওয়া ক্রুর উদ্ধারে চীনা নৌ বাহিনীর সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও আদান-প্রদান গভীরতর করা দু'পক্ষের যৌথ প্রত্যাশা। চীনের সাথে দু'দেশের নেতৃবৃন্দের মতৈক্যের বাস্তবায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তরিক ও পেশাদারিত্বের সাথে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার করবে। তিনি বলেন, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার করে মতভেদ ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যৌথভাবে দুই দেশের বাহিনীর সম্পর্কের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।
(সুবর্ণা/মহসিন)