জুলাই ১৯: চেক প্রজাতন্ত্রের সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রী পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, লোকসভার স্পিকার জেন হামাচেকের আমন্ত্রণে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সম্পাদক লিউ ইউন শান গত ১৬ থেকে ১৯ জুলাই দেশটি সফর করেছেন। সফরে তিনি চেকের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান, প্রধানমন্ত্রী বোহুস্লাভ সোবাতকা ও লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন এবং 'চীনের বিনিয়োগ ফোরাম-২০১৭'তে অংশ নেন।
প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমানের সঙ্গে সাক্ষাতে লিউ ইউন শান বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং প্রেসিডেন্ট জেমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কৌশলগত উন্নয়ন নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। তারা দু'দেশের সম্পর্কোন্নয়নের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। চেক সক্রিয়ভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে অংশ নেওয়ায় প্রশংসা করেন লিউ ইউন শান। তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক সমৃদ্ধ করবে, অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, পর্যটন, চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিত্সা ব্যবস্থায় সহযোগিতা চালাবে।
প্রধানমন্ত্রী বোহুস্লাভ সোবাতকার সঙ্গে সাক্ষাতে লিউ ইউন শান আশা করেন, দু'পক্ষ 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোতে ১৬+১ সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে দু'দেশের নীতিগত যোগাযোগ জোরদার করবে, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াবে যাতে, অভিন্ন উন্নয়ন হয়।
লোকসভার স্পিকার হামাচেকের সঙ্গে বৈঠকে লিউ ইউন শান বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি চেকের সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সম্পর্ককে অনেক গুরুত্ব দেয়। সিপিসি আশা করে, দুই পার্টির উর্ধ্বতন পর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রাখবে, অভিজ্ঞতার বিনিময় হবে এবং স্থানীয় সংগঠন, যুব কর্মকর্তা ও বেসরকারি বিনিময় বাড়বে।
সফরে লিউ ইউন শান প্রাগে অনুষ্ঠিত '২০১৭ চীনের বিনিয়োগ ফোরামে' 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে '১৬+১' সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া' শীর্ষক প্রধান ভাষণ দিয়েছেন।
চেকের প্রধানমন্ত্রী সোবাতকা ও বুলগেরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ভালেরি সিমেওনোভসহ অনেকেই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি চীন ও মধ্যপূর্ব ইউরোপের ১৬টি দেশের রাজনীতি ও বাণিজ্যিক মহলের হাজারেরো বেশি প্রতিনিধি এ ফোরামে অংশ নিয়েছেন।
(ইয়ু/তৌহিদ)