0628huati.m4a
|
সুপ্রিয় শ্রোতা, আগামী পয়লা জুলাই পালিত হবে হংকংয়ের পুনরায় চীনের মূল ভূখণ্ডের অধীনে ফিরে আসার ২০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে আমরা হংকংকে অভিনন্দন জানাই। আজ আমরা গত ২০ বছরে হংকংয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবো।
রুবি: ১৯৯৭ সালের পয়লা জুলাইয়ের কথা এখনও আমার মনে আছে। তখন আমি সিনিয়র স্কুলের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছিলাম। পয়লা জুলাই সামার ভেকেশনের মধ্যে পড়ে। এ দিনই হংকং চীনের অধীনে ফিরে আসবে বলে অনেক দিন ধরেই শুনছিলাম। সেজন্য খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষাও করছিলাম। পয়লা জুলাই এলো। আমি দিনের বেলা ঘুমালাম। উদ্দেশ্য: রাত জেগে হংকংয়ের ফিরে আসার খবরাখবর ফলো করবো।
আলিম: সত্যি চমত্কার। আপনার জানা হংকংয়ের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলুন?
রুবি: সবাই জানেন যে, হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল।এ অঞ্চলের বিশেষ দিক কী?
আলিম: হ্যা, শ্রোতাবন্ধুদের স্পষ্টই জানাতে চাই যে, কেন হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে নির্ধারিত হয়। কারণ 'এক দেশ, দুই সামাজিক ব্যবস্থা' হংকংয়ে প্রচলিত।
রুবি: চীনের অধীনে ফিরে আসার পর গত ২০ বছরে হংকংয়ে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গত ২০১৪ সালের জুন মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রকাশিত "'এক দেশ, দুই সামাজিক ব্যবস্থা': হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের অনুশীলন" শীর্ষক শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে: চীনের অধীনে ফিরে আসার পর হংকং অধিবাসীরা আইন অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগের পাশাপাশি হংকংয়ের মূলনীতি প্রয়োগের নিশ্চয়তাও পেয়েছে। এ অঞ্চলের অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং, বাণিজ্য ও নৌ চলাচলের কেন্দ্রীয় অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী শিল্পও অব্যাহতভাবে উন্নত হয়েছে।
আলিম: বিশ্ব ব্যাংকের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, হংকং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের কার্যকারিতা, সামাজিক নীতির প্রয়োগ ও দূর্নীতিদমনসহ নানান সূচকে অনেক এগিয়েছে। নীতিগত মানের দিক দিয়ে ১৯৯৬ সালে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে হংকংয়ের অবস্থান ছিল ৬০-এ। ২০১৫ সালে এ অবস্থান উন্নত হয়ে ১১তম স্থানে আসে। (রুবি/আলিম)