সাক্ষাতে ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান হলো চীনের সার্বক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার। পাকিস্তানই চীনের সঙ্গে এ ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী একমাত্র দেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা গভীর করতে এবং দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করতে চায় চীন। সন্ত্রাসদমন চীন-পাকিস্তান সার্বক্ষণিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্ত্রাসী 'পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট' দমনে ইসলামাবাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায় চীন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও স্বীকার করেন ওয়াং ই।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উত্তেজনাময় সম্পর্ক দু'দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। তিনি আশা করেন, পাক-আফগান সম্পর্ক উন্নত হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরে আসবে এবং পুনরায় সহযোগিতা শুরু হবে। চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিদেশীয় আলোচনা শুরু করতে চায় বেইজিং।
বৈঠকে আজিজ বলেন, সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেশি ঘটছে এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসদমন আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে যৌথভাবে সন্ত্রাসদমন করতে চায় পাকিস্তান। আফগানিস্তানের সঙ্গে বিনিময় জোরদারেও ইচ্ছুক পাকিস্তান। তা ছাড়া, চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিদলীয় আলোচনা ব্যবস্থার প্রতি ইসলামাবাদের আগ্রহের কথা জানান আজিজ।
(জিনিয়া ওয়াং/তৌহিদ)