0612
|
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স গতকাল (রোববার) কুয়াং চৌতে একটি 'উন্মুক্ত দিন' অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এয়ারলাইন্সটি সাধারণ নাগরিক ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানায়। এ সুযোগ পেয়ে সাধারণ নাগরিক ও সাংবাদিকরা নিজ চোখে বিমান পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া দেখেন এবং তাতে অংশও নেন ।
দীর্ঘকাল ধরে আকাশে উড়া বা বিমানবন্দরে থাকার কারণে বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরণের দূষণের স্বীকার হয় বিমান। আবার বিমানের পৃষ্ঠ বা কোনো কোনো যন্ত্রপাতির ওপর ধোঁয়া, অক্সাইড জমা হয়। বিশেষ করে বিমানের পেট; কারণ এই অংশে থাকে নানান তেলের পাইপ ও ড্রে৴ন।
অপরিষ্কার বিমান একদিকে দেখতে যেমন অসুন্দর, অন্যদিকে এটি আকাশে নিরাপদ চলাচলের ওপর হুমকি সৃষ্টি করে।
তাই নিয়মিতভাবে বিমান পরিষ্কার করা খুব প্রয়োজন। এয়ারবাস এ ৩২০এনইও বিমানকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বলা যায়, ঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে এ ধরনের একটি বিমান পরিষ্কার করতে একবার ২০টন পানি দরকার হয়, সেই সঙ্গে বিমানটিকে বিশেষ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরিষ্কার করার জায়গায় নিতে হয়।
২০১৪ সালে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ফ্রান্স থেকে 'ড্রাই ক্লিনার' নামে একটি প্রযুক্তি আমদানি করে। এই প্রক্রিয়ায় বিশেষ পরিষ্কারক উপাদান ব্যবহার করা হয়, এরপর বিশেষ যন্ত্র দিয়ে বিমানটি পরিষ্কার করা হয়। সারা প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র ৩০-৪৫ লিটার পানি দরকার হয়। ১৫ জন কর্মী আড়াই- তিন ঘণ্টার মধ্যে এ কাজটি শেষ করতে পারে।
বিশেষ পরিষ্কারক বিমানটিকে 'ওয়াক্সিং'ও করতে পারে। এর জন্য কোনো বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হয় না, সরাসরি পার্কিং জায়গায় বিমানটি পরিষ্কার করা হয়। এতে কম পানি ব্যবহার করে আরো ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ২৪ দিনের মধ্যে অন্তত একবার বিমান পরিষ্কার করে। চীনের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স হিসেবে এক বছরে ১০৬০০ বার বিমান পরিষ্কার করে কর্মীরা।
উল্লেখ্য, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের গতকালের (রোববার) ওই 'উন্মুক্ত দিন' অনুষ্ঠানে কর্মীদের পরিচালনায় সাধারণ নাগরিকরা নিজে বিমান পরিষ্কার করে। এটি এয়ারলাইন্সটির এ ধরনের দ্বিতীয় 'উন্মুক্ত দিন' অনুষ্ঠান। প্রথম উন্মুক্ত দিনে নাগরিক ও সাংবাদিকরা ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের প্রশিক্ষণ ক্লাস পরিদর্শন করে। (শিশির/টুটুল)