0605huati.mp3
|
চীনা প্রতিনিধিদল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাব্য পারমাণবিক ঝুঁকি, নিরাপত্তা সহযোগিতার নতুন পদ্ধতি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সমুদ্রে সংঘর্ষ এড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে।
শুক্রবার রাতে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, মানবজাতির সামনে মৃত্যু, যুদ্ধ ও শান্তির মতো জটিল ইস্যু রয়েছে। বিশ্বশান্তি হুমকির মুখে। যুদ্ধ-বিগ্রহের অনুপস্থিতিতেও এ কথা প্রযোজ্য।
এ সম্পর্কে হ্য লেই বলেন, চীন বরাবরই শান্তি ও উন্নয়নের পথে অবিচল থেকেছে। চীন মনে করেন, শক্তিশালী অথবা দুর্বল—সব দেশই সমান। তাই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উচিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে যৌথভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষা করা।
হ্য লেই আরও বলেন, চীন আন্তর্জাতিক আইনকে গুরুত্ব দেয় ও সম্মান করে। চীনা বাহিনী বরাবরই বহুপক্ষীয় সংলাপব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেয়। বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ, সামরিক কর্মকর্তা ও পণ্ডিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই চীনা প্রতিনিধিদলের সাংরিলা সংলাপে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য।
তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত মানবসমাজের অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠন, এশিয়ার নতুন নিরাপত্তা-ধারণা প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক বিষয়ে যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
এদিন সাংরিলা সংলাপের আয়োজক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশান ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস)-এর মহাপরিচাল ও প্রধান নির্বাহী স্যার জন চিপম্যান বলেন, চীনা গণমুক্তিফৌজে ব্যাপক সংস্কার চলছে। আগামী বছর চীনা গণমুক্তিফৌজ আরও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে সংলাপে অংশ নেবে বলে আশা করা যায়। এর জবাবে হ্য লেই বলেন, 'সিয়াংশান ফোরামের মহাসচিব হিসেবে আমি আশা করি, এবারের সংলাপে সমতা, সহনশীলতা, সরলতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।'
শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ফ্রান্স, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও লাওস'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে দু'দেশের বাহিনীর সম্পর্ক নিয়ে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, হ্য লেই এ নিয়ে ২০০৭ সাল থেকে টানা ১১ বার সাংরিলা সংলাপ অংশ নিলেন। এবারের সংলাপে তিনি প্রধানত চীনের কূটনীতি ও প্রতিরক্ষানীতি তুলে ধরেন। এ ছাড়া, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু এবং সন্ত্রাসদমনসহ বিভিন্ন বিষয়েও তিনি চীনের অবস্থান পুনরুল্লেখ করেন।
(ঊর্মি/আলিম)