music
|
১৯৭২ সালে শিয়ে থিয়াং শিয়াও চীনের শানদং প্রদেশে জন্ম গ্রহন করেন। ছোটবেলায় তিনি ছবি আঁকা শিখেছেন। তবে পরে তাঁর ছবি আঁকতে ভালো লাগেনি । তাই তিনি গিটার বাজানো শেখা শুরু করেন এবং গান লিখতে শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি কয়েকটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো 'শীতল রক্তের প্রাণী'। এ ব্যান্ডের নামের সঙ্গে শিয়ে থিয়াং শিয়াওয়ের মিল আছে কারণ শিয়ে থিয়াং শিয়াও একজন শীতল মানুষ। খুব মজার বিষয়, তাই না? এখন আপনাদের শোনাবো শিয়ে থিয়াং শিয়াওয়ের দুটি প্রতিনিধিত্বশীল রচনা। একটি গানের নাম হলো 'শীতল রক্তের প্রাণী'। আরেকটি গানের নাম হলো 'দাঁত খোঁটা'। শুনুন তাহলে গানটি।
প্রিয় শ্রোতা, আপনাদের কাছে এ দুটি গান কেমন লাগলো? এ ধরণের গান হলো 'চীনা বৈশিষ্ট্যের রক সংগীত'। তাই আজকের সংগীতানুষ্ঠান সুরের ধারায়ের থিম হলো রক শিল্পী শিয়ে থিয়াং শিয়াও। শিয়ে থিয়াং শিয়াওকে সবাই চীনা লোক সংগীতের গড ফাদার বলে ডাকেন। তাঁর সংগীতে শুধু রক নয়, আপনারা শুনতে পাবেন চীনের একটি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র 'গু জেং'য়ের সুর। এখন দুটি গানে আপনারা শুনতে পাবেন গু জেংয়ের সুর। শুনুন আরও দুটি গান: 'কেউ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে' এবং 'আশমা'।
আপনারা পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে শুনছেন 'সুরের ধারায়'। আপনাদের সংগে আছি আমি লতা। যদি আরও সুন্দর সুন্দর গান শুনতে চান, তাহলে প্রতি সপ্তাহে আমাদের সংগীতানুষ্ঠান শুনুন। যদি আপনাদের কাছে অনুষ্ঠান বিষয়ে কোনো পরামর্শ থাকে, তাহলে ফোন অথবা চিঠির মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আপনাদের সমর্থন হলো আমাদের চালিকা শক্তি। আজকের সংগীতানুষ্ঠান সুরের ধারায়ের শেষ দিকে আপনারা শুনবেন শিয়ে থিয়াং শিয়াওয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত গান: সূর্যমুখী ফুল। প্রতিটি সংগীত অনুষ্ঠানে অথবা বিশেষ দিবসে তিনি এ গানটি গাইতে পছন্দ করেন। সে সময় উপস্থিত সবাই তাঁর সংগে এ গানটি গায়। আসুন এখন আমরাও একসংগে এ গানটি উপভোগ করি। এ গানের পর শুনবেন হারিয়ে যাওয়া শিরোনামে আরো একটি সুন্দর গান।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের সংগীতানুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। কি আরো গান শুনতে চান? তাহলে আজ নয়, আগামী সপ্তাহের 'সুরের ধারায়' অনুষ্ঠানে আবার আপনাদের শোনাবো সুন্দর সুন্দর নতুন গান। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকুন। যাই চিয়ান।(লতা/টুটুল)