0602china
|
চীনে রেশম অভিজাত জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে। রেশমের পণ্য সুন্দর ও মার্জিত। রেশম দিয়ে তৈরি পোশাক অনেক নরম ও মসৃণ হয়। এ ধরনের পোশাক বেশ আরামদায়ক। রেশমের পোশাক দেহের তাপমাত্রা ধরে রাখে এবং বাইরের তাপ থেকে শরীরকে বাঁচায়। রেশমের কাপড় মানুষকে অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। তাই রেশমকে 'মানুষের দ্বিতীয় চামড়া' বলেও গণ্য করা হয়।
রেশমের এত গুণ কেন? কারণ, এর উত্স রেশমগুটি। রেশমপোকার লার্ভার গুটি থেকে একধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু পাওয়া যায়। একেই বলে 'ছি ছাও' বা রেশম।
প্রাচীন চীনা মানুষ রেশম থেকে সুতা তৈরি করে সে সুতা দিয়ে কাপড় বুনতেন। সে কাপড়ে তারা ব্যবহার করতে বিভিন্ন ধরনের রঙ; ফুটিয়ে তুলতেন বিভিন্ন প্যাটার্ন। রেশম সুতা দিয়ে বিছানার চাদর, জানালা ও দরজার পর্দা এবং আর্টওয়ার্কও তৈরি করা যায়।
চীনের সু চৌ শহরের 'সোং চিন', নান চিং শহরের 'ইউন চিন' এবং সি ছুয়ান প্রদেশের 'শু চিন' নানা ধরনের রেশমপণ্যের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে চীনে যে রেশম সবচে বেশি প্রচলিত তা হাং চৌয়ের রেশম। হাং চৌকে 'রেশমের রাজধানী' বলা হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে: চীনের রেশম কীভাবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল? প্রাচীনকালে চীনের একটি বাণিজ্যপথ ছিল। এই পথের মাধ্যমে চীন থেকে এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপ ও আফ্রিকায় যাওয়া যেত। এই পথ দিয়ে চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেসব পণ্য যেত, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রেশম। তখন থেকেই চীনের রেশম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং এ পথ 'রেশম পথ' নামে খ্যাতি লাভ করে।