'এক জানালা' নির্মাণ এবং সারা দেশের শুল্ক ক্লিয়ারেন্স একত্রিত করা চলতি বছর চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের 'সরকারি কর্মসূচির' বিভিন্ন কার্যাবলীর মধ্যে অন্যতম। 'এক জানালা' মানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান একবারে সব তথ্য আবেদনপত্রে অনলাইনে জমা দেবে, তারপর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের কাছে তথ্যগুলো পৌঁছে যাবে। সারা দেশের শুল্ক ক্লিয়ারেন্স একত্রিত হওয়া মানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি সারা চীনের যেন কোনো শুল্ক কার্যালয়ে শুল্ক ক্লিয়ারেন্সের সব ব্যবস্থা করতে পারবে।
শুল্ক প্রশাসন সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক জৌ জি উ জানিয়েছেন, পণ্যদ্রব্যের প্রজ্ঞাপন, পরিবহন পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এবং শুল্ক প্রদানসহ ৯টি কাজ 'এক জানালার' মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা গঠন করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হওয়ার আশা রয়েছে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি প্রদেশের মধ্যে 'এক জানালা' ব্যবস্থা গঠিত হয়েছে। এ ব্যবস্থা সংক্রান্ত কাঠামোগত মতামত গৃহীত হয়েছে। প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা গত এপ্রিল মাসে চালু হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সারা দেশে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রবেশ ও প্রস্থান প্রজ্ঞাপন, পরিবহন তত্ত্বাবধান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্যসহ একটি যৌথ তথ্যমঞ্চ স্থাপন করার মাধ্যমে সব তথ্য শুল্ক সংক্রান্ত বিভাগের মধ্যে শেয়ার করা যাবে, কোম্পানিকে আবার আলাদা তথ্য জমা দেওয়ার দরকার হবে না।
তাছাড়া, এ পর্যন্ত শুল্ক সংক্রান্ত বিভাগের একত্রে কাজকর্মের ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরিবহন বিভাগ সারা দেশের জাহাজ নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান ব্যবস্থার মাধ্যমে জাহাজগুলোর শুল্ক ক্লিয়ারেন্স বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।
জৌ জি উ আরো জানান, ভবিষ্যতে তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে যৌথ পরীক্ষণ ও তত্ত্বাবধান সম্ভব হবে। তিনি বলেন, শুল্ক সংক্রান্ত বিভাগের মধ্যে এ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে আন্তঃবিভাগীয় তথ্য বিনিময়, আইন প্রণয়ন স্বীকৃতি দেওয়া ও পরীক্ষণ স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হবে। অর্থাত, একটি কোম্পানির একটি পণ্যদ্রব্যের ওপর বিভিন্ন বিভাগের বার বার তদন্তের আর দরকার হবে না।
তিনি সারা দেশের শুল্ক ক্লিয়ারেন্স একত্রে সংস্কারের বৈশিষ্ট্যতা জানিয়েছেন। প্রথমত, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলা কেন্দ্র এবং শুল্ক আদায় প্রশাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার পর, বিক্ষিপ্ত বন্দরের কাজ একত্রিত হয়ে উঠবে। দ্বিতীয়ত, 'এক বার আবেদন করে বিভিন্ন বিভাগে যৌথ পরীক্ষা' শুল্ক ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সহজীকরণ করা যাবে। তৃতীয়ত, শুল্ক আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে। কোম্পানি নিজেই শুল্ক আবেদন করবে, এভাবে শুল্ক ক্লিয়ারেন্সে কম খরচ ও কম সময় লাগবে। এসব সংস্কারের মাধ্যমে কোম্পানির জন্য আমদানি রপ্তানি সুবিধাজনক হবে। জানা গেছে, ভবিষ্যতে শুল্ক প্রশাসন সদরদপ্তর পরবর্তীতে অযৌক্তিক শুল্ক কমিয়ে দেবে এবং শুল্ক ক্লিয়ারেন্সের সময় আরো তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে দেবে।
(স্বর্ণা/টুটুল)