সি চিন পিং বলেন, ফিলিপিন্স চীনের সুপ্রতিবেশী মৈত্রী দেশ এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণকাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সুপ্রতিবেশীসুলভ সহযোগিতা ও উভয়ের কল্যাণ বাস্তবায়ন দু'দেশের সম্পর্কোন্নয়নের সঠিক পথ। চীন ফিলিপিন্সের সঙ্গে দু'দেশের উন্নয়নের কৌশল যুক্ত করে যৌথ উন্নয়নের পথে আরও সাফল্য অর্জন করতে এবং দু'দেশের জনগণের জন্য আরও কল্যাণ বয়ে আনতে ইচ্ছুক।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, দু'দেশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উচিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যোগাযোগ জোরদার করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সঠিক পথে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীলভাবে উন্নীত করা।
দুতের্তে 'এক অঞ্চল, এক পথ' আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষফোরামের সাফল্যের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারে অনুকূল। পাশাপাশি এ উদ্যোগ ফিলিপিন্সের কর্মসংস্থান বাড়ানো ও সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা পালন করবে।
দুতের্তে বলেন, ফিলিপিন্স রাজনীতি, অর্থ-বাণিজ্য ও মাদক দমনসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফিলিপিন্স চীনের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরতর, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে ইচ্ছুক। ফিলিপিন্স আসিয়ান ও চীনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতেও ইচ্ছুক।
সাক্ষাতের পর দু'নেতা অর্থনৈতিক প্রযুক্তি, অবকাঠামো, জনশক্তি, জ্বালানি, তথ্য ও প্রকাশনাসহ নানা ক্ষেত্রের দলিলপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। (ওয়াং তান হোং/টুটুল)