এ সময় প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, বন্ধু ও অংশীদার। চলতি বছর দু'দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগী অংশীদারি সম্পর্ক উচ্চ মানে উন্নীত হচ্ছে, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতায় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীন-রুশ মৈত্রী, শান্তি ও উন্নয়ন কমিটি প্রতিষ্ঠার ২০তম বার্ষিকী এবং রুশ-চীন মৈত্রী সমিতি প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকীতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও আরো সুসংবদ্ধ হয়েছে। জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বড় দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে দুই দেশ।
প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, চীন-রুশ সম্পর্ক উন্নয়ন ও গভীরতর করা দু'দেশের অভিন্ন সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। ২০১৫ সালের মে মাসে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে দু'পক্ষ একমত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। গত দুই বছর স্থিতিশীলভাবে সহযোগিতা হয়েছে এবং বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার উন্নয়ন ও 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণ এবং ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সহযোগিতার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলবে দু'দেশ।
'এক অঞ্চল, এক পথ' আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষফোরামের সফল উদ্বোধনে অভিনন্দন জানান পুতিন। চলমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীনের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ ও এ ফোরাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ে সহায়ক। পুতিন আরো বলেন, রুশ-চীন সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হচ্ছে, দু'দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যাপক বিনিময়, আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দ্রুত বৃদ্ধি এবং কাঠামোগত পরিবর্তন হচ্ছে। চীনের সঙ্গে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরস্পরকে সমর্থন দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন পুতিন।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/শিশির)