বৈঠকে লি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে অনেক গুরুত্ব দেয় বেইজিং। দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক আস্থা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে চীন। এতে দু'দেশের সার্বক্ষণিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক সামনে এগিয়ে যাবে।
লি আরো বলেন, সিপেকের যৌথ প্রকল্প ও সহযোগিতায় কার্যকর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কৌশল আরো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করে স্থিতিশীল, যুগোপযোগী ও গুণগতমানের পরিবহন অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্প নির্মিত হবে বলে আশা করে বেইজিং। পাশাপাশি, ধারণক্ষমতার সহযোগিতা ও বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নীত হবে। পাকিস্তানে চীনা কর্মী ও প্রকল্পের নিরাপত্তা জোরদারের প্রত্যাশাও করেন তিনি।
বৈঠকে নেওয়াজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান ও চীন বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ও কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার। সিপেক দু'দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে পাক অর্থনীতির উন্নয়নে বিরাট সুযোগ দিয়েছে। দ্রুত এ অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে চীনা কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানে বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান নেওয়াজ শরিফ।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/জিনিয়া)