'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে তিব্বতের যোগাযোগ আরও সুবিধাজনক হবে
  2017-05-09 16:45:06  cri
মে ৯: 'সড়কজাল', 'বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থা' ও 'ইন্টারনেট' এই তিনটি চ্যানেল নির্মাণের মাধ্যমে তিব্বতের সঙ্গে 'বাইরের যোগাযোগ' দ্রুততর করা হবে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজে অংশগ্রহণ করছে তিব্বত। এতে চীন ও নেপালের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ইতোমধ্যেই কাজে লাগানো হয়েছে। তিব্বতকে দক্ষিণ এশিয়ার বড় চ্যানেল সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। সম্প্রতি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান ছি চা লা এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে এই কথা জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দিকে চীনের উন্মুক্ত গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল হিসেবে তিব্বতকে নির্মাণ করা হচ্ছে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি তিব্বতের উন্মুক্ত ও উন্নয়ন দ্রুততর করার আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুযোগ। তিব্বতকে নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সার্বিক ও বহুমুখী পর্যায়ের আদান-প্রদান করা উচিত।

তিব্বতের আয়তন ১২ লাখ বর্গকিলোমিটার। যা পৃথক পৃথকভাবে নেপাল, ভুটান, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংলগ্ন। এর সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৪ হাজার কিলোমিটার। ইতিহাসে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল হিসেবে তিব্বত ভূমিকা পালন করেছে।

তিব্বতের 'ছিংহাই-তিব্বত' রেলপথ ইতোমধ্যেই তিব্বতের রি খা জ্যে পৌঁছেছে। এটি আন্তঃদেশীয় রেলপথ নির্মাণের জন্য ভিত্তি সৃষ্টি করেছে। সেই সঙ্গে, দূষণমুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব তিব্বতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশাল সম্ভাবনা প্রদান করেছে। (ওয়াং হাইমান/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040