0506kholamela
|
বর্তমানে 'বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর' এই রেশমপথের অংশ হিসেবে তার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সত্তা। রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চল কেবল এক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অঞ্চলই নয়, বরং মানবসভ্যতা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি-অর্থনীতির সমন্বয়ে গঠিত এক 'সভ্যতার অঞ্চল'ও বটে।
এ উদ্যোগ গ্রহণের ৩ বছর পর অনেক দেশ ও অঞ্চল সক্রিয় সাড়া দিয়েছে এবং প্রাথমিক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। এর ভিত্তিতে আগামী ১৪ ও ১৫ মে 'এক অঞ্চল, এক পথ'বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ফোরাম বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষনেতারা এ ফোরামে একত্রিত হয়ে বিশ্ব উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য 'আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করে এক অঞ্চল, এক পথের যৌথ নির্মাণের মাধ্যমে অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা'। এতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, গোলটেবিল বৈঠক এবং উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনসহ তিনটি অংশ থাকবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর আগে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এবারের ফোরামের ৪টি লক্ষ্য রয়েছে, সহযোগিতার লক্ষ্য ও মূলনীতি আরো সুস্পষ্ট করা, পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রকল্প নির্ধারণ করা, জনকল্যাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এবং সহায়তার পরিষেবা ব্যবস্থা আরো উন্নত করা। দু'দিনব্যাপী ফোরামে প্রায় ১২০০ অংশগ্রহণকারী অবকাঠামো খাত, পুঁজি বিনিয়োগ, আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা, জ্বালানি সম্পদ, অর্থায়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পরিবেশ রক্ষা এবং সামুদ্রিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আজকের খোলামেলা অনুষ্ঠানে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব এবং আসন্ন শীর্ষফোরাম নিয়ে কথা বলছি চীনের উহান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলাজির 'এক অঞ্চল, এক পথ গবেষণা কেন্দ্রের' গবেষক ডাঃ মোস্তাক আহমেদ গালিবের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' বিষয়ে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি করছেন।
(স্বর্ণা/তৌহিদ/মুক্তা)