সাহিত্য ও সংস্কৃতি--০৫০২
  2017-05-02 18:25:37  cri
প্রথমে একটি সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ শুনবো।

'রেশমপথ পর্যটন বর্ষ ২০১৭' উপলক্ষ্যে সম্প্রতি কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয় চীন-নেপাল পর্যটন বিনিময় সম্মেলন। নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী দিলনাথ গিরি ও নেপালে চীনা রাষ্ট্রদূত ইউয়ু হং সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে ইউয়ু হং বলেন, চীন ইতিবাচকভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং নেপাল এ কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। 'এক অঞ্চল, এক পথ' কৌশলের আওতায় দু'দেশের পর্যটন সহযোগিতা সফল হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, চীন নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটক উত্স দেশ। ২০১৬ সালে চীনের এক লাখ চার হাজার পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করে। অন্যদিকে, নেপালের ৭৬ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে চীন।

এবার 'বুদাপেস্টে চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত' শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক প্রবন্ধ শুনবো।

চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান স্থানীয় সময় ২৪ এপ্রিল হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত হয়। এ ইন্সটিটিউটটি চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির ইউরোপীয় গবেষণালয়ের নেতৃত্বে নির্মিত হয়েছে। তা ইউরোপে চীনের প্রথম স্বাধীন নিবন্ধিত একটি গবেষণাবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থায় পরিণত হবে। অনুষ্ঠানে চীন এবং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে এক সেমিনার আয়োজিত হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কাজের ওপর চীন উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্ব দিয়েছে। ২০১৫ সালে চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির নেতৃত্বে চীনের মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর থিঙ্ক ট্যাংক বিনিময় ও সহযোগিতার নেটওর্য়াক, অর্থাত্ ১৬+১ থিঙ্ক ট্যাংক নেটওর্য়াক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির পরিচালক ওয়াং উয়েই কুয়াং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে সফরকালে উত্থাপন করেন যে, বেইজিংয়ের ১৬+১ থিঙ্ক ট্যাংক নেটওর্য়াক ছাড়াও মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে আমাদের উচিত চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা।

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে ১৬টি দেশ আছে, কেন চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে নির্মিত হয়? চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির ইউরোপীয় গবেষণালয়ের পরিচালক হুয়াং ভিং বলেন,

"১৬টি দেশের মধ্যে একটি 'ভি-৪ গ্রুপ' আছে। তা হলো হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া। ১৬টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে এ চার দেশের অন্য দেশের চেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্ক একটি স্থিতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের একাডেমি ও হাঙ্গেরির বিজ্ঞান একাডেমির মধ্যে বেশ কয়েক দশকের সহযোগিতা সম্পর্ক আছে। সেখানে আরো অনেক সংস্থার সঙ্গেও আমাদের সহযোগিতা সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট বুদাপেস্টে নির্মিত হলে সে দেশের থিঙ্ক ট্যাংক ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরো দৃঢ় সহযোগিতা সম্পর্ক বজায় থাকবে।"

হাঙ্গেরিতে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক কর্পোরেট সংস্থা হিসেবে, চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট এ অঞ্চলটির বিভিন্ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা চালাবে। হাঙ্গেরির স্থানীয় আইন অনুসারে ইন্সটিটিউট সবকিছু ব্যবস্থাপনা করবে। তাছাড়া ইন্সটিটিউটটিও ১৬+১ থিঙ্ক ট্যাংক নেটওয়ার্ক, জাতীয় থিঙ্ক ট্যাংক এবং একাডেমিক ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে পরিণত হবে।

চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমি, ১৬+১ থিঙ্ক ট্যাংক নেটওয়ার্ক, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হাঙ্গেরিতে চীনের দূতাবাস, চীনে হাঙ্গেরির দূতাবাস এবং বিভিন্ন স্থানীয় সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ রিসার্চ ইন্সটিটিউট নির্মাণে সহায়তা ও সমর্থন দিয়েছে। পরিচালক হুয়াং ভিং বলেন,

"হাঙ্গেরিতে আমরা অবশ্যই গবেষণা করবো। যেমন বিভিন্ন সেমিনার, ছোট আকারের সংলাপ, ফোরাম, গোলটেবিল ইত্যাদি। যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠিত হবে। গবেষণার ফলাফল স্থানীয় ভাষা, ইংরেজি ও চীনা ভাষার মাধ্যমে যৌথভাবে প্রকাশ হবে। অবশেষে অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হলো ইন্টারেক্টিভ স্টাফ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ কোর্সে রয়েছে চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ সম্পর্ক, ১৬+১, 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংশ্লিষ্ট জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও বক্তৃতা সিরিজ।"

রিসার্চ ইন্সটিটিউট নির্মিত হওয়ার পর হাঙ্গেরির বিজ্ঞান একাডেমি, এ্যান্ডোরা নলেজ সেন্টার, হাঙ্গেরির আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক গবেষণাগারসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা চালাবে।

চীন-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ ঘনিষ্ঠভাবে থিঙ্ক ট্যাংক সহযোগিতা এবং বিনিময় বজায় রেখেছে। চীন আশা করে ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সহযোগিতা গভীর হবে, তাছাড়া সহযোগিতার দিক ও পদ্ধতি নতুন উন্নয়ন পাবে। একটি ভাল শুরু অর্ধেক সাফল্যের প্রতীক। ভবিষ্যতে এ ইন্সটিটিউট অবশ্যই সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য অনেক অবদান রাখবে।

বন্ধুরা, আমার সহকর্মী টুটুলের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্বের আগে আমরা আরেকটি সাংস্কৃতিক খবর শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040