'রেশমপথ' কেবল একটি বাণিজ্যিক পথ নয়, বরং এর একটি সুনির্দিষ্ট 'চেতনা'-ও রয়েছে। এ চেতনার আলোকে বহু জাতি, বহু ধর্ম ও বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন রচিত হয়েছে। এ মেলবন্ধন রচিত হয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। এ চেতনার ভিত্তি হচ্ছে সংহতি ও পারস্পরিক আস্থা, সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণ, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শিক্ষা, সহযোগিতার মাধ্যমে সকলের জন্য কল্যাণ সৃষ্টি, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলের জন্য শান্তিময় পৃথিবী গড়ে তোলার নীতি।
২০১৪ সালের ৫ জুন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন-আরব সহযোগিতা ফোরামের ষষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, রেশমপথকে কেন্দ্র করে বহুকাল ধরেই শান্তি ও সহযোগিতা, উন্মুক্ততা ও সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শিক্ষা, পারস্পরিক কল্যাণ, ও সকলের জন্য কল্যাণের নীতি প্রচারিত হয়েছে। এ ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হবে।
সি চিন পিং তার ভাষণে 'রেশমপথ চেতনা' টার্মটিও ব্যবহার করেন এবং এ চেতনা সমুন্নত রাখার প্রস্তাব দেন। বলা চলে, তার ওই মন্তব্য নতুন যুগের 'রেশমপথ'-এ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। (ইয়ু/আলিম)