এ ফোরাম আয়োজনের জন্য স্বাগত জানান লিউ চিন সোং। তিনি বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ মে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে 'এক অঞ্চল, এক পথ'সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক শীর্ষফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব, ২৮টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১১০টি দেশ ও ৬১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এতে অংশ নেবেন। ফোরামটির প্রতিপাদ্য হবে 'সহযোগিতা ও পারস্পরিক উপকারিতা।' এ ফোরাম রেশমপথ নির্মাণকে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যম, পণ্ডিত ও থিংকট্যাংক 'এক অঞ্চল, এক পথ'কে গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু মতভেদও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ভারত রেশমপথ সংলগ্ন দেশ। বাস্তবেও ভারত এ উদ্যোগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়েছে। ভারত ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক বা এআইআইবি'র দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদারে পরিণত হয়েছে। রেশমপথ শুধু আঞ্চলিক পথই নয় বরং, এটি বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার নেটওয়ার্ক। দীর্ঘ সময় পরিকল্পনার পর এ কৌশল উত্থাপিত হয়েছে, যা চীনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য কল্যাণকর।
তিনি আরো বলেন, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর ভারতের সার্বভৌমত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিকোণ থেকে এ করিডোর ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশের জন্য সহায়ক। চীন-ভারত 'এক অঞ্চল, এক পথ'সংশ্লিষ্ট খাতে যোগাযোগ ও সহযোগিতা চালাতে পারে এবং যৌথভাবে এশিয়ার নতুন যুগ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম।
(ওয়াং তান হোং/তৌহিদ)