এতে বলা হয়, আগের সংলাপ ব্যর্থ হওয়ায় জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ এটি হলো উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক চাপ দেওয়ার জন্য দেশটির কৌশল মাত্র!
বিশ্লেষণে বলা হয়, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এর আগে স্পষ্টভাবে বলেছে, উত্তর কোরিয়া সংলাপ চায় না, তাই দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তা ছাড়া, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক চাপ ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৈরী অবস্থান না ছাড়লে পুনরায় সংলাপে বসার কোনো ইচ্ছা নেই উত্তর কোরিয়ার।
১৯৯৪ সালের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়াকে লাইট ওয়াটার রিয়্যাক্টর তৈরি এবং ভারী তেল সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু প্রকল্প স্থগিত রাখবে। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আঘাত হানার সম্ভাব্য দেশের তালিকায় উত্তর কোরিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করে এবং দেশটিতে ভারি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। জবাবে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু প্রকল্প পুনরায় শুরু করে এবং 'পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি' থেকে বেরিয়ে যায়।
উত্তর কোরিয়া সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ এবং পারস্পরিক হামলা না করার চুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প বন্ধের শর্তে বহুপক্ষীয় সংলাপের কথা বলছে। গত সোমবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প বন্ধের চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি 'ভিন্ন পদ্ধতি'র কথাও বিবেচনা করবে ওয়াশিংটন।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)