নির্ধারিত সময়ের ২৪ দিন আগেই গত ৬ এপ্রিল বিকেলে চীন-মালদ্বীপ মৈত্রী সেতুর শেষ পিলারটি স্থাপন করা হয়। কঠিন ও জটিল পরিবেশে চীনা কোম্পানি এত দ্রুত কাজ করত পারছে দেখে মালদ্বীপবাসী অবাক! মালদ্বীপের গৃহায়ন ও নির্মাণ মন্ত্রণালয় একটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করে দিয়েছে, যাতে জনগণ সেখানে দাঁড়িয়ে সেতুটির চলমান নির্মাণকাজ দূরবীন দিয়ে দেখতে পারে। এ প্ল্যাটফর্মও এখন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
মালদ্বীপের মানুষ চীন সরকার ও চীনা কোম্পানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকে আবার চীনা কোম্পানিতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মালদ্বীপ কন্যা আমিরা লতিফ তাদের একজন। এখন তিনি চীনা ভাষা শিখছেন। তিনি বলেন "চীন বিশ্বে একটি শাক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে চীনা ভাষাও ব্যাপকভাবে প্রচলিত হবে। আর মালদ্বীপ যখন সামুদ্রিক রেশমপথ নির্মাণে অংশ নিবে, তখন আমাদের সামনে অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। তখন আরও বেশি চীনা কোম্পানি মালদ্বীপে আসবে এবং আমার মতো মানুষের তখন সেসব কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ ঘটবে।"
চীন-মালদ্বীপ মৈত্রী সেতু একটি দৃষ্টান্ত। একটি অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে 'এক অঞ্চল, এক পথ' কৌশল বাস্তবায়নের একটি দৃষ্টান্ত। এ সেতু চীন ও মালদ্বীপের জনগণের মৈত্রীর সাক্ষী এবং এটি মালদ্বীপের ভবিষ্যত।
এ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন বলেছিলেন, 'চীন সেতুটি নির্মাণ করবে জেনে আমি ভীষণ খুশী হই। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের খবর। এ সেতু প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে মালদ্বীপের মানুষের আশা পূরণ করবে এবং গোটা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।' (শিশির/আলিম)